মায়ের বিদায়ে বিষাদের সুর রাসমনি ভবনে, সিঁদুর খেলায় মাতলেন পরিবারের সদস্যরা


রবিবার,২১/১০/২০১৮
850

বাংলা এক্সপ্রেস ---

কলকাতা: এবছরের মত সন্তানদের নিয়ে কৈলাসে পাড়ি দিলেন মা উমা। তাঁর আগমনে আলোয় ভরে উঠেছিল রাসবিহারি এভিনিউয়ের ঐতিহ্যবাহী রানি রাসমনি ভবন। পুজোর দিনগুলিতে আত্মীয়-পরিজন, অতিথি-অভ্যগতদের ভীড়ে গমগম করছিল ঠাকুর দালান। অবশেষে বিষাদের সুর গোটা বাড়ি জুড়ে। কারণ মায়ের যে যাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে। মাকে বরণ করে বিদায় জানাতে তাই জোর তৎপরতা শুরু হয়ে গেল। বরণ ডালা নিয়ে মাকে বরণ করলেন রানি রাসমনি পরিবারের পঞ্চম প্রজন্মের সদস্যরা। রাসমনির নাত বউ শ্যামলী দাস বর্তমানে বাড়ির কর্ত্রী। তাঁর উদ্যোগেই পুজোর আয়োজন। আড়াইশো বছরের প্রাচীণ এই পুজো। শ্যামলীদেবীর দুই পুত্রবধূ মাকে বরণ করলেন। বরণ করলেন অন্যান্য সদস্যরাও।

তারপর সিঁদুর খেলায় মেতে উঠলেন সকলেই। অংশগ্রহন করলেন প্রতিবেশীরাও। বাংলার ঐতিহ্যপূর্ণ পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম রাসমণি ভবনের পুজো। রাসবিহারী এভিনিউয়ের রাসমণি ভবনে প্রথা মেনেই সিঁদুর খেলা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় মহিলাদের সঙ্গে সিঁদুর খেলায় মাতেন রাসমণির পঞ্চম প্রজন্মের সদস্যরাও।শ্যামলীদেবীর দুই ছেলে অমিতাভ ও অম্লান, পুত্রবধূ ঝুমা ও রীণা ব্যস্ত হয়ে পড়েন বরণ পর্ব ও মায়ের বিদায় জানানোর প্রস্তুতিতে। নাতি- নাতনি অভিষেক, অনন্যা, অদৃজাও ছিল তৎপর। চারদিনের পুজো শেষে মাকে বিদায় জানাতে বিষাদের ছায়া গোটা রাসমণি ভবনে।

রানি রাসমণির নাতবৌ শ্যামলী দাস। সিঁদুর খেললেন পুত্র এবং পুত্রবধূদের সঙ্গে নিজেও। দেবীবরণ করার সময় কেঁদে ফেললেন শ্যামলীদেবী। কারণ ঘরের মেয়ে এবার বাপের বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। মন খারাপ বাড়ির দুই বউয়েরও। বিষাদের মধ্যেই কানে কানে মা দুর্গাকে সামনের বছর আসার আমন্ত্রণ জানালেন এই পরিবারের সকলেই। নিয়ম ও প্রথা অনুযায়ী দর্পণে দেবীর নিরঞ্জন হয়ে যায়। আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের পালা শুরু হয় দুপুর থেকে। সিঁদুর খেলার আনন্দের মধ্যেও কোথায় যেন একটা বিষাদ লুকিয়ে গোটা বাড়ি জুড়ে। বাড়ির প্রত্যেকেরই চোখে জল। গত কয়ক মাস ধরে প্রস্তুতি চলেছিল। আর মাত্র পাঁচ দিনের জন্য প্রাণ প্রতিষ্ঠা। তারপর মা চলে গেলেন। শ্যামলী দাস জানালেন, আগামী বছরের জন্য আবার প্রস্তুতি শুরু করে দেব আমরা। মায়ের কাছে শুধু এটাই চেয়েছি, জাত-পাত, ধনী-দরিদ্র, দলমত নির্বিশেষে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা যেন দেশের উন্নয়নে,মানুষের উন্নয়নে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারি। মা সুমতি দিক সকলের।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট