বিজয়া দশমী : শুভ শক্তির অভ্যুদয় ঘটুক


শনিবার,২০/১০/২০১৮
690

বাংলা এক্সপ্রেস ---

কলকাতা: আজ বিজয়া দশমী। বিসর্জনের ঢাক বাজছে। চলে যাচ্ছেন দেবী দুর্গা। স্বামী, পুত্র, কন্যা নিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন কটি দিনের জন্য। এখন ভক্তকুলকে কাঁদিয়ে আবার চলে যাচ্ছেন স্বামীগৃহে।

আনন্দঘন পরিবেশে শুরু হয়েছিল দুর্গোৎসব। দেবী বিসর্জনের মধ্য দিয়ে আজ তার ইতি ঘটছে। দুর্গাপুজো ষষ্ঠী তিথিতে বোধন ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে যে আনুষ্ঠানিকতার শুরু সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীর পুজো অর্চনার পর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে তার সমাপ্তি হচ্ছে। দুর্গাপুজো উপলক্ষে জাতপাত নির্বিশেষে দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসবের আমেজ ছিল তুঙ্গে।
পূজা প্যান্ডেল গুলোতে সব ধর্মের মানুষের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। এ সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে অঙ্গীকারকেই বিশ্ববাসীর কাছে পরিস্ফুটিত করেছে। দুর্গাপুজোর লক্ষ্য হলো শুভ শক্তির আরাধনা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, আদ্যাশক্তি মহামায়া হলেন সৃষ্টির আদি কারণ। অশুভ শক্তির বিনাশ এবং শুভ শক্তির অভ্যুদয় দুর্গা আরাধনার মূল উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচিত। যুগের বিবর্তনে দুর্গোৎসব বাঙালির লোকজ সংস্কৃতির অনুষঙ্গ হিসেবে ঠাঁই পেয়েছে। বাঙালি ঐতিহ্যগতভাবেই উৎসবপ্রিয়। সব ধর্মের উৎসব ঘিরেই জাতীয় জীবনে যে আবেগ সৃষ্টি হয় তা এ সত্যকেই তুলে ধরে। এক সম্প্রদায়ের উৎসবে অন্য সম্প্রদায়ের উপস্থিতি জাতীয় ঐক্যকেই সুসংহত করে। বিজয়া দশমী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং বিরোধীদলীয় নেতারা দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। অভিনন্দন জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে ভারতের যে সুনাম রয়েছে তাঁরা তা সুরক্ষার অঙ্গীকার করেছেন।

দুর্গোৎসবের মধ্য দিয়ে মানুষের উদার ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার কাছে বিভেদকামী অপশক্তি কোনো ঠাঁই পায়নি। উৎসবের দিনগুলিতে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় যে আন্তরিক ভূমিকা রেখেছেন তা প্রশংসার দাবিদার।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট