কলকাতা: মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের নবনিযুক্ত পদাধিকারীদের এক বৈঠক বিধান ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র,চারজন কার্যনির্বাহী সভাপতি-যথাক্রমে দীপা দাশমুন্সী,আবু হাসেম খান চৌধুরী, নেপাল মাহাত এবং শংকর মালাকার,সমন্বয় সাধনকারী কমিটির চেয়ারম্যান প্রদীপ ভট্টাচার্য, ইস্তেহার কমিটির চেয়ারপার্সন অভিজিৎ মুখোপাধযায়,সমন্বয় সাধনকারী কমিটির আহ্বায়ক শুভঙ্কর সরকার,প্রচার ও সংযোগস্থাপনকারী কমিটির চেয়ারপার্সন অমিতাভ চক্রবর্তী, এছাড়াও বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। তবে এদিনের বৈঠকে ছিলেন না প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং ইস্তেহার কমিটির আহ্বায়ক সন্তোষ পাঠক। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ব্যক্তিগত কারণে বৈঠক উপস্থিত থাকতে পারেননি তাঁরা। প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে,
বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে পশ্চিমবঙ্গের ২৯ টি জেলা কংগ্রেসের সভাপতিদের আপাতত নতুন কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত তাঁদের স্বপদে বহাল রাখা হলো। কিন্তু যেসব জেলা কংগ্রেসের ক্ষেত্রে সভাপতির সাথে কো- অর্ডিনেটর নিযুক্ত ছিলেন,সে সমস্ত ক্ষেত্রে কো- অর্ডিনেটর পদগুলিকে কে বিলুপ্ত করা হলো।
নবনিযুক্ত চারজন কার্যনির্বাহী সভাপতি তাঁদের জন্য স্থিরীকৃত জেলাগুলি অবিলম্বে পরিদর্শন করে এসে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে উক্ত জেলা কংগ্রেসগুলির সাংগঠনিক পরিস্থিতি সম্পর্কে রিপোর্ট দেবেন এবং সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে দুর্গোৎসবের পর আবার এই কমিটি বৈঠকে বসে বিভিন্ন সাংগঠনিক বিষয় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
দুর্গোৎসবের পরই কোলকাতার রাণী রাসমণী রোডে প্রদেশ কংগ্রেসের উদ্যোগে জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। দুর্গোৎসবের পর বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান দলের সমস্ত বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন।
বৈঠকে আরো সিদ্ধান্ত হয় যে, সর্ব ভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সভাপতি রাহুল গান্ধী র নির্দেশ অনুযায়ী এ মুহূর্তে রাজ্য কংগ্রেসকে নিজের পায়ে দাঁড় করানোই হবে আমদের প্রধান কাজ।
যাঁরা ভয়ে,ক্ষোভে এবং অন্যান্য নানা কারণে দল ছেড়ে চলে গেছেন, তাঁদের প্রত্যেককে দলে ফেরার আহ্বানও জানানো হয়।