প্রাইভেট পরতে গিয়ে নিখোঁজ ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার হল ঝিল থেকে


শুক্রবার,১৪/০৯/২০১৮
529

সুমন করাতি---

হুগলী: প্রাইভেট পরতে গিয়ে নিখোঁজ ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার হল ঝিল থেকে। মায়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ মামার।চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা চুঁচুড়া কোদালিয়ার।১১ই সেপ্টেম্বর সন্ধায় বাড়ির কাছেই প্রাইভেট পড়তে যাচ্ছি বলে বেরোয় প্রীতম মুখার্জী।সে পরতে যায় নি।তার গৃহ শিক্ষক ফোন করে জানায়।সারা রাত খোঁজাখুঁজি করে প্রীতমের কোনো সন্ধান পাওয়া যায় না।পরদিন সকালে হুগলী স্টেশন এলাকার একটি ঝিল থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়।প্রীতম ব্যান্ডেল বিদ্যা মন্দির স্কুলে নবম শ্রেণীতে পড়ত।মেধাবী ছাত্র ছিল সে।

প্রীতমের মামা সুব্রত হালদারের অভিযোগ ভাগ্নার মৃত্যুর জন্য দায়ী তার মা তপতী জানা।প্রীতমের যখন চার বছর বয়স তখন তার বাবা পবিত্র মুখার্জীকে ছেরে চঞ্চল জানাকে বিয়ে করে তপতী।সেই থেকে মামার বাড়ি কোদালিয়াতেই মানুষ হচ্ছিল প্রীতম।এতদিন কোনো খোঁজ খবর না নিলেও ইদানিং ছেলের জন্য বাপের বাড়ি আসত তপতী।আর তা নিয়েই অশান্তি হত তার মা ও দাদার সঙ্গে।ছেলের অধিকার ফিরে পেতে চাইত তপতী।তার জন্য মায়ের সঙ্গে অশান্তি মারধোর, ছেলেকে হুমকি দেওয়া সবই করে তপতী।এই নিয়ে মামালাও হয়।সুব্রত হালদারের আরো অভিযোগ,আগের মুখার্জী টাইটেল পাল্টে জানা টাইটেল করতে হবে তার ভাগ্নাকে চাপ দিত বোন।ভাগ্না তাতে রাজি না হওয়ায় মেরে ফেলার হুমকি দিত তপতী।প্রীতমকে খুনই করা হয়েছে। এর পিছনে রয়েছে তপতী ও তার দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী চঞল জানা।ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে মায়ের বাড়ি নিউ কোদালিয়ায় ছুটে আসে তপতী।তাকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয় নি।রাস্তায় দাঁড়িয়ে সে অভিযোগ করে তার ছেলের কাছে আসাটা মা পছন্দ করত না।

তাকেও মারধোর করা হত।তাকে ছেলের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়।ছেলেকে কেন মারতে যাব? প্রশ্ন তার।যদিও বোনের শাস্তি দাবী করেছে সুব্রত হালদার।তার দাবী ভাগ্নাকে নিজের ছেলের মত মানুষ করছিলাম।প্রীতম সুখি ছিল মামার বাড়িতে।ওর মা এসে ভয় দেখাতো,স্কুলে যাওয়ার পথে মারধোর করত।তাই গত একমাস স্কুলে যায়নি প্রীতম।ও ভয় পেত।কি করে মৃত্যু হল প্রীতমের?খুন নাকি আত্মহত্যা?যাই হোক না কেন রহস্য রয়েছে কোদালিয়ার ছাত্রের মৃত্যুতে।চুঁচুড়া থানায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে।মৃতদেহের ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর রহস্যের কিনারা হবে বলছে পুলিশ।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট