সাংসদ কোটার টাকা খরচে রাজ্যে প্রথম ইদ্রিশ আলি, পিছনের সারিতে বিরোধী সাংসদরা


বৃহস্পতিবার,১৩/০৯/২০১৮
671

বিকাশচন্দ্র ঘোষ---

কলকাতা: সাংসদদের এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকা খরচে পিছিয়ে রাজ্যের বিরোধী সাংসদরা। কয়েক কদম এগিয়ে শাসক দলের সাংসদরা। আর নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। এমপি ল্যাডের বরাদ্দকৃত টাকার অর্ধেকও খরচ করতে না পারেনন নি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ এস এস আলুওয়ালিয়া। একজন সাংসদ পাঁচ বছরে ২৫ কোটি টাকা পেয়ে থাকেন তাঁর এলাকা উন্নয়নের জন্য। সেখানে মাত্র ৪৬.৯৮ শতাংশ খরচ করতে পেরেছেন বিজেপির এই সাংসদ। অন্য দিকে বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ ইদ্রিশ আলি এলাকা উন্নয়নের টাকা খরচে রাজ্যের মধ্যে নাম্বার ওয়ান।

তিনি এলাকা উন্নয়নের টাকা খরচ করেছেন ৯৩.১৩ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তিনি ৯১.৯৬ শতাং টাকা খরচ করেছেন। এলাকা উন্নয়নের টাকা খরচে তৃণমূল সাংসদ তাপস পাল, সন্ধ্যা রায়ও উপরের সারিতে। তৃণমূলের মধ্যে পিছিয়ে ঝাড়গ্রামের সাংসদ উমা সোরেন। উন্নয়নের টাকা খরচে বিজেপি সাংসদের মতই পিছনের সারিতে বাম ও কংগ্রেসের সাংসদরাও। সিপিএম নেতা রবীন দেবের অভিযোগ, প্রসাসনের অসহযোগিতার কারনেই বিরোধী সাংসদরা ইচ্ছে থাকলেও এলাকা উন্নয়নের টাকা খরচ বরতে পারছেন না। বিভিন্ন অছিলায় কাজ আটকে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ তাঁর।

অবশ্য এধরনের অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল সাংসদরা। এলাকায় জনসংযোগ থাকলে কোথায় কি উন্নয়ন করতে হবে তা নিয়ে অবগত হওয়া যায়। এলাকায় নিয়মিত জনসংযোগ রক্ষার জেরেই তাঁর এই সাফলা বলে মনে করেন রাজ্যের মধ্যে প্রথম ইদ্রিশ আলি।

এলাকার উন্নয়নের জন্যই বছরে পাঁচ কোটি টাকা পান এক এক জন সাংসদ। দোষারোপের রাজনীতি ছেড়ে সেই টাকা এলাকার উন্নয়নে কাজে লাগুক এমনটাই চান সাধারণ মানুষ। ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, সাংসদরা একটু উদ্যোগী হলেই সব বাধা অতিক্রম করে লক্ষ্য পূরনে সফল হবেনই।

https://youtu.be/mbY33QMCSTc

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট