এই কৌশি অমাবস্যা রাত্রে মায়ের বিশেষ পূজা আরতি হয়ে থাকে। আজও রাতে মহাশ্মশানে বহু দূর-দূরান্ত থেকে প্রচুর ভক্ত, সাধক ও তান্ত্রিকরা আসেন। পূজা পাঠ হোম যজ্ঞ করেন। মায়ের কৃপায় সকলের মনস্কামনা পূরণ হয়। কৌশি অমাবস্যায় তারাপীঠে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়। চারিদিকে একটা হই চই ব্যাপার। সর্বদা মায়ের নাম গান চলছে। তারাপীঠ যেন জেগে ওঠে, নতুন ভাবে সেজে ওঠে। হাজার হাজার ভক্তের ঢল নেমেছে তারাপীঠ চত্বরে । দূর দুরান্ত থেকে মানুষ এসেছেন মায়ের কাছে। শুধু তাই নয় আজকের দিনটির অপেক্ষা করেন তারা মায়ের ভক্তেরা ।
আজকের রাতে মায়ের মন্দিরে বিশেষ পুজার আরতি হয়ে থাকে। আজকের দিনে মায়ের ভক্তরা তাদের মনস্কামনা জানান মাকে। তারাপীঠ মন্দিরটি গ্রাম বাংলার যে কোনো মধ্যম আকারের মন্দিরেরই অনুরূপ। কিন্তু তা সত্ত্বেও এত বৃহৎ একটি তীর্থক্ষেত্রে হিসেবে এই মন্দিরের বিকাশের কারণ হল “মন্দির-সংক্রান্ত কিংবদন্তি, পশুবলি সহ এই মন্দিরের পূজাপদ্ধতি,তারাপীঠের সর্বাধিক প্রসিদ্ধ সাধক হলেন বামাক্ষ্যাপা (১৮৪৩-১৯১১)। মন্দিরের নিকটেই তাঁর আশ্রম ছিল। বামাক্ষ্যাপা ছিলেন তারাদেবীর একনিষ্ঠ ভক্ত। তিনি মন্দিরে পূজা করতেন এবং শ্মশানে সাধনা করতেন। আজ রাতে তারাপীঠ মহা শশ্মান চত্বরে প্রচুর ভক্ত , সাধক আসেন ও মায়ের আরাধনা করেন। বছরের এই বিশেষ দিনে মায়ের কাছে পুজা দিতে এসেছে বহু মানুষ।