কলকাতা: মেট্রোর কাজে কলকাতায় এসেছিলেন তিনি। ছুটিতে বাড়িও গিয়েছিলেন। তারপর ফিরে কাজে যোগদান। অন্যান্য শ্রমিকদের সঙ্গে নির্মিয়মান মেট্রো প্রকল্পের পাশেই মাঝেরহাট উড়ালপুলের নিচে অস্থায়ী আস্তানায় থাকতেন তিনি। আর তার পাশেই ছিল রান্না করার জায়গা। মঙ্গলবার যখন শ্রমিকরা কাজে ব্যস্ত ছিলেন তখন গৌতম কয়েকজন সঙ্গীকে নিয়ে রাতের রান্নার আয়োজনে ছিলেন। কিন্তু কখন যে মাথার ওপর ব্রিজ ভেঙে পড়ল তা বোঝার সুযোগ হয়ে ওঠেনি তাঁর।ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে বহু খোঁজাখুঁজি হয়েছিল, কিন্তু হদিশ পাওয়া যায়নি। ওইদিন ভোর চারটে নাগাদ তার শ্যালক ও পরিবারের আর এক সদস্য ভেঙে পড়া ব্রিজের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে দাঁড়িয়ে ছিল। যদি দেখতে পাওয়া যায়। উদ্ধারকারী দলের সদস্যরাও নির্দিষ্ট পয়েন্টে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। সম্ভব হয়নি তাঁর সন্ধান পাওয়ার। অবশেষে ধ্বংসস্তুপ সরাতে বেরিয়ে এল গৌতমের মৃতদেহ। এস এস কে এম হাসপাতালে চিহ্ণিত হল মৃতদেহ। মুর্শিদাবাদ জেলার বোদেরপাড়া, তেঁতুলিয়ায় বাড়ি গৌতমের।বয়স ৪৫। আজ সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ এই মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই নিয়ে মোট তিন জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল মাঝেরহাট কান্ডে।
মাঝেরহাট উড়ালপুল দুর্ঘটনায় মুর্শিদাবাদের গৌতম মন্ডলের মৃতদেহ উদ্ধার
বৃহস্পতিবার,০৬/০৯/২০১৮
661
বাংলা এক্সপ্রেস---