১৫ সেপ্টেম্বর রাজভবনে বাংলার রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী এক বিশেষ অনুষ্ঠানে বিরল প্রতিভা মেধাবী ছাত্র শরিফুলের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন।
দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে মিলনের স্বপ্ন দেখেছেন সারাজীবন। ধর্মীয় সংকীর্ণতাকে পিছনে ফেলে উন্নয়নে ব্রতী হয়েছেন গোলাম আহমাদ মোর্তাজা। তাঁর সেই স্বপ্ন আবারও স্বার্থক হল উচ্চমাধ্যমিকে পঞ্চম স্থানাধিকারী শরিফুল ইসলামের হাত ধরে।
বিভক্ত ভারতে ইতিহাস চর্চার পথিকৃৎ বাংলার বক্তাশ্রেষ্ট গোলাম আহমাদ মোর্তজা। তিনি ইতিহাস চর্চার মধ্য দিয়ে দুই সম্প্রদায়ের মিলন সেতু রচনা করার চেষ্টা করেছেন আজীবন। সাফল্য এসেছে দুর্নিবার গতিতে। দেশের মেধা অন্বেষণে প্রথম সারির সংস্থা হিসেবে মমরাজ আগরওয়াল ফাউন্ডেশন কয়েক দশক ধরে এই রাজ্যে কাজ করেছে। এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত আছেন রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল ও কলকাতা হাইকোর্টে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি শ্যামল সেন সহ দেশের বেশ কয়েকটি হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতিরা, যুক্ত আছেন বেশ কয়েকটি দেশের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা।
এই রকম একটি বিখ্যাত সংস্থার পক্ষ থেকে গোলাম আহমাদ মোর্তজা সাহেবের প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয় মামুন ন্যাশনাল স্কুলের ছাত্র এবছর উচ্চ-মাধ্যমিকে পঞ্চম স্থানাধিকারী শরিফুল ইসলামকে মমরাজ আগরওয়াল রাষ্ট্রীয় পুরস্কারের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রয়াত মমরাজ আগওয়ালকে, সমাজসেবার স্বীকৃতি স্বরুপ ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী উপাধি প্রদান করেছিল। তাঁর প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থাটি ২১ বছর ধরে রাজ্যের মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের পুরস্কার দিয়ে আসছে।
মুর্শিদাবাদের সন্তান, বর্ধমানের মেমারির মামুন ন্যাশনাল স্কুলের ছাত্র শরিফুলের এই সম্মানে উজ্জীবিত হবে বাংলার পিছিয়ে পড়া সংখ্যালঘু মুসলিমরা।
মমরাজ ফাউন্ডেশন থেকে পাঠানো আমন্ত্রণ পত্র অনুসারে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর রাজভবনে বিকেল ৫ টায় রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী এই পুরস্কার শরিফুলের হাতে তুলে দেবেন।