হাওড়া: ২৯ শে আগষ্ট বুধবার দুপুরে ব্যাঙ্ক কর্মীর বস্তা বন্দি দেহ মেলার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে খুনের কিনারা করল পুলিশ।সেখ সামসুদ্দিন নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে ব্যাঙ্ক কর্মী পার্থ চক্রবর্তী বেরিয়ে ছিলেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ঋণের টাকা আদায়ের জন্য। চার জায়গা ঘুরে ৩ লক্ষ টাকা আদায় করেছিলেন পার্থা বাবু। কিন্ত পঞ্চম জায়গায় যাওয়ার আগেই খুন হন ওই ব্যাঙ্ক কর্মী।হাত,পা,মাথা কাটা বস্তা বন্দি দেহ উদ্ধার হয় মাকড়দহ এলাকা থেকে। পাথর দেহাংশের কাপড়ের টুকরো লেগে থাকায়।ওই সূত্র ধরে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত সামসুদ্দিনের স্ত্রী বন্ধন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছিলেন।
কিন্তু টাকা শোধ করছিলেন না। ঋণের টাকার জন্য ব্যাঙ্ক কর্মী পার্থ চক্রবর্তী সামসুদ্দিনের সঙ্গে কথা বলতে যান। শামসুদ্দিনের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন ওই ব্যাংক কর্মী।সেই সময় রাগের বসে সামসুদ্দিন পার্থর বাবুর মাথায় আঘাত করেন। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় পার্থর প্রমাণ লোপাট করতে সামসুদ্দিন ধারালো অস্ত্র দিয়ে পার্থর হাত,পা,মাথা কেটে ফেলে।মুন্ডহীন দেহ ফেলে দেওয়া হয় মাকড়দহ এলাকায়। কিন্তু পার্থর মাথার খোঁজ মিলছিলো না। পুলিশ সামসুদ্দিনকে দীর্ঘ ক্ষন জেরা করে জানতে পারে ৬ নং জাতীয় সড়কের ধারে ফেলে আসে। পুলিশ সেখান থেকে মাথা উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে পার্থর কাছ থেকে খোয়া যাওয়া ৩ লক্ষ উদ্ধার হয়েছে সামসুদ্দিনের কাছ থেকে। তবে এই খুনের পিছনে আর কেউ জড়িত আছে কি না তদন্ত করছে ডোমজুড় থানার পুলিশ।