ক্যানিং: ভগবান শ্রীকৃষ্ণ,সুভদ্রা ও দ্রৌপদীদের হাত ধরে রাখীবন্ধন উৎসব শুরু হয়েছিল বলে জানা যায় প্রাচীন মহাকাব্য মহাভারত থেকে। পরবর্তী সময়ে সেই রাখীবন্ধন উৎসব প্রচলন প্রায় বিলুপ্তী হয়েও যায়।এরপর বিভিন্ন সময়ে বিদেশীরা ভারতবর্ষ দখল করে শাসন করেন দীর্ঘকাল। পরবর্তী পর্যায়ে বিট্রিশরা ভারতবর্ষ দখল করে শাসন করতে থাকে।
সময়টা ১৯০৫ সালে তখন বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে সারা বাংলা উত্তাল। সে প্রচেষ্টাকে ক্ষত-বিক্ষত করে বিশ্বকবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর ১৯০৫ সালে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ,এবং দেশকে অখন্ড রাখার প্রতিঞ্জা নিয়ে রাখার আহ্বান জানিয়ে সম্প্রীতির রাখীবন্ধন উৎসব শুরু করেন। ১৯৪৭ সালে ভাগ হয়ে গেল দেশ, বিধির বাঁধন ছিঁড়ে দিল সেই কাঁটাতারের বেড়া। কিন্তু আজও জাগ্রত ভারতআত্মা আবার অনুভব করছে সেই বাঁধনের টান।সেই নিয়ম রীতি মেনে অাজও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মেল বন্ধন অটুট রেখে সকল
সম্প্রদায়ের মানুষজন মেতে ওঠেন প্রাচীন রাখীবন্ধন উৎসবে। রবিবার সকালে প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রাচীন ঐতিহাসিক রাখীবন্ধন উৎসবে মেতে উঠলো গোটা ক্যানিং শহর। এদিন সকালে ক্যানিংয়ের মাতলাব্রীজ সংলগ্ন,সাতমূখী হেড়োভাঙ্গা বাজার,ক্যানিং বাসষ্ট্যান্ড সহ ক্যানিং ষ্টেশন এলাকায় সাধারণ মানুষজন থেকে রাজনৈতিক নেতৃত্বরা “রাখীবন্ধন” উৎসবে মেতে উঠে একে অপরের এবং পথচলিত সাধারণ মানুষজনদের কে রাখী পরিয়ে দিনটি পালন করলেন।
ক্যানিং ষ্টেশন এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস হকার্স ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সাধারণ রেলযাত্রীদের হাতে রাখী পরিয়ে রাখীবন্ধন উৎসব পালিত হয়। ক্যানিং ষ্টেশন হকার্স ইউনিয়নের সদস্য মোহন সিং বলেন “সারা বছর পেটের তাগিদে ট্রেনের মধ্যে আমরা হকারী করে থাকি,অামরা পরষ্পর পরষ্পরের উপর নির্ভর থাকি সেই সব নিত্যযাত্রীদের সাথে অালাপ পরিচয় ও খুবই কম হয়। ঐতিহাসিক রাখীবন্ধন উৎসবে অামরা সেইসব পরিচিত এবং অপরিচিত বিভিন্ন যাত্রীদের হাতে আনন্দে রাখী পরিয়ে সম্প্রীতি বজায় রেখে উৎসবটি পালন করে থাকি”।