NRC ইস্যু নিয়ে এবার বাংলাকে আক্রমণ জয়প্রকাশ মজুমদারের


বৃহস্পতিবার,১৬/০৮/২০১৮
551

বাংলা এক্সপ্রেস---

পশ্চিম মেদিনীপুর: বাংলা হচ্ছে বাঙালির জন্য। বাংলা হচ্ছে বাংলার লোকের জন্য। বাংলা বাংলাদেশীদের জন্য নয়। আজ পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ে BJP র এক দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে NRC ইস্যু নিয়ে এবার বাংলাকে আক্রমণ করলেন BJP এর রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বলেন, এখানের মানুষের জন্য উনি (মমতা ব্যানার্জী) কি করেছেন ? কোন শিল্পের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন ? মানুষের কষ্ট কোন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে ? আমি জানি আপনার অনেক টাকা হয়েছে। প্রত্যেকদিন আপনার কাছে আরো অনেক টাকা আসছে, ঐ বালি চুরির টাকা। স্ম্যাগলিং এর টাকা। আর এই গরীব মানুষেরা যা গরীব যা দারিদ্রতায় ছিল, সেখানেই পড়ে আছে। এখন আবার নতুন একটা আপনাদের ভুল বোঝানোর পালা আসছে। আমরা বলছি বাংলা হচ্ছে বাঙালীর জন্য। বাংলা হচ্ছে বাংলার লোকেদের জন্য। বাংলা বাংলাদেশীদের জন্য নয়। আজকে আমাদের এবং আমাদের ভাই বোনেদের রুজি রুটি, আমাদের ভাই, বোন, সন্তানের চাকরি তাদের ভবিষ্যৎ, সেটাকে আমরা ভাগ হতে দেবোনা। এক কোটি বাংলাদেশী যারা এসে এইখানে আপনার আমার রুটি কাড়ছে, রুজি কাড়ছে, চাকরি নিচ্ছে। আর সারাদিন যারা কাজ করে খেটে লুটে, তাদেরকে শুনতে হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে আসা যারা আছে তারা নো ওয়ার্ক পে তে কম রোজে কাজ করবে। এটা চলতে পারেনা। বাংলা হল বাঙালির জন্য।

প্রাক্তন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ভারতী ঘোষ তো ছিলেন এখানে। আপনারা জানেন। কি ভয়ংকর অত্যাচার হয়েছিল ঘরে ঘরে। বলেছিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায় আমার মা। আমি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কন্যা। আজকে তিনি সেই মমতা বন্দোপাধ্যায়ের হাত থেকে বাঁচার জন্যে পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। মমতা বন্দোপাধ্যায় কারোর নয়। তৃণমূলের লোকেরা যারা দুর থেকে আমার বক্তব্য শুনছেন। সেই তৃণমূলের লোকদের জন্য বলি, মমতা বন্দোপাধ্যায় কারোর নয়। যেদিন প্রয়োজন পড়বে সেদিন পেছন থেকে ছুরি মারতে ২ মিনিটও সময় লাগবেনা। দেখুন ভারতী ঘোষ কোথায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তার স্বামী আজকে জেলে মরছে। কে পাঠিয়েছে ? ভারতীয় জনতা পার্টি ? তাকে জেলে পাঠিয়েছে মমতা বন্দোপাধ্যায়। কেন ? না বনাবনি হলনা পক্ষে আনিয়ে। কোটি কোটি টাকার বখরা, সোনা দিয়ে বখরা, চোরাই টাকা দিয়ে বখরা, বালি নিয়ে বখরা। শুধু দাও দাও দাও। আর এই রাস্তা দিয়ে যারা যায়। আপনারা চেনেন তাদের। আপনাদের গ্রামে গ্রামে তাদের চেনে। দেখবেন আগে সাইকেলে চড়ার ক্ষমতা ছিলনা, এখন বাইকে করে ঘুরে বেড়ায়। খোলা জামা, বুক পর্যন্ত খোলা। গলায় সোনার চেন। হাতে সোনার বালা, পরে নিলে হয়না ওরা কারা, ওরা তৃণমূলের দাদারা। গ্রামে গ্রামে দাপিয়ে বেড়ায় আর শুধু বলে দাও দাও।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট