ভাঙড়: দীর্ঘ দুই বছর টানা সংগ্রাম করে অবশেষে সরকারী তরফে তুলে দেওয়া হল ক্ষতিপূরণ । ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রীড তৈরি করাকে ঘিরে যে আন্দোলন তৈরি হয়েছিল তা শান্তির সঙ্গে বন্ধ করতে দুই তরফে একাধিক বার জেলা সদর দপ্তর আলিপুরে আলাপ আলোচনা হয়। সম্প্রতি শনিবার শেষ পাওয়ার গিল্ড হচ্ছে না, সাবস্টেশন হচ্ছে। এরপর থেকে এলাকায় অকাল এতসব আবাল বিদ্ধ বনিতা মেতে উঠেছে।পূর্ব ঘোষণা মত সোমবার বিকালে আহত ও নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়ার কথা হয়। শেষ পর্যন্ত সোমবার স্থানীয় পোলেরহাট২নং পঞ্চায়েত অফিসে সকলকে ডেকে সরকারী তরফে চেক তুলে দেওয়া হয়।
মফিজুল খান, ফতিমা বিবি সহ বেশ বেশ কিছু স্থানীয় লোকজন গুলিতে বিদ্ধ হয়ে মৃত্যু কিম্বা আহত হয়েছিল। নাগাদ জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির চুক্তি মোতাবেক শহিদ পরিবারের হাতে আট লক্ষ ও আহতদের পরিবারের হাতে ২ লক্ষ টাকা তুলে দেওয়া হয়। দুই তরফে শান্তি ফিরে আসার বার্তা দিয়েছিল জমি কমিটি। অন্যদিকে তাদের অভিযোগ এলাকার তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামরা তাদের শান্তিতে আন্দোলন করতে দিচ্ছিল না। তারা এলাকায় শান্তি ফিরে আসুক চাইছিল না। তবে পঞ্চায়েতে ভোটে এলাকারই জমি কমিটির সঙ্গে যুক্ত পরিবারের লোকজন ভোটে দাড়িয়ে বেশ কয়েকটি আসনে জেতেন ও পরবর্তীতে শান্তিতে বসে গোটা বিষয়ের সমাধান দাবি করেন। এলাকায় যাতে শান্তি ফিরে আসে সেকথা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীও। জমি কমিটির নেতা মির্জা হাসান বলেন,”শেষে যে হাফিজুল রহমান মোল্লা নিহত হল,ওর ডকুমেন্ট জমা না পড়ায় ওই পরিবারের পরে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে”।