মেদিনীপুর কলেজ মাঠেই কিছুদিন আগে সভা করে গেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর আজ সেই মাঠেই পালটা সভা করলো তৃণমূল। সভায় উপস্থিত ছিলেন পার্থ চ্যাটার্জি, ফিরহাদ হাকিম, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী ও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত প্রথম সারির নেতা মন্ত্রীরা। গত ১৬ জুলাই মেদিনীপুরের কলেজ কলেজিয়েট মাঠে বিজেপির সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ শনিবার তৃণমূলের সভার প্রধান বক্তা যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া ভাষায় বিজেপিকে আক্রমন করে বলেন আমাদের নেতাদের মাথাতেও ছাউনি নেই,আর কর্মীদের মাথাতেও ছাউনি নেই।আমরা কোটি কোটি টাকা খরচ করে প্যান্ডেল করতে পারে নি।যারা প্যান্ডেল বাঁধতে পারে না তারা রাজ্য দখলের কথা বলে। মোদীর সভায় অনুবীক্ষণ দিয়েও দেখা যায় নি একজন কৃষককেও।আর আমাদের জনসভায় বাইরে থেকে কোন লোক আনতে হয় না।এই জনসভার শেষ দেখতে পারছি না।মাঠে যা লোক আছে তার দ্বিগুন-তিনগুন লোক মাঠের বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। ছাউনি ছাড়া বর্ষাকালে এত বড়ো সভা করে দেখাও বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের। তৃণমূল সিন্ডিকেট তৈরী করেছে,কিন্তু সেটা মানুষের সিন্ডিকেট।আগামীদিনে আমাদের সিন্ডিকেট দিল্লি থেকে বিজেপিকে সরিয়ে দেবে। বিজেপির বিভাজনের রাজনীতি আমরা বিশ্বাস করি না।যোগী আদিত্যনাথদের হিন্দুত্বকে আমরা মানি না। আমাদের নেত্রী ঠিক করে দিয়েছেন আমাদের অঙ্গীকার,৪২-৪২।বর্তমানে এটাই আমাদের একমাত্র অঙ্গীকার।২০১৯ বিজেপি ফিনিশ। আমাদের ধমকে-চমকে কোন লাভ নেই।বাংলার মানুষ টাকা নিয়ে বিক্রি হয় না।বাংলার মানুষ ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেবে। বাংলায় যদি কোন দাঙ্গা হয় তাহলে তা ১০কোটি বাংলার মানুষের সাথে হবে।সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাংলায় হবে না।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন ১৬ তারিখ এই মেদিনীপুরের মাটিতেই দিল্লি থেকে লোক এসে বক্তব্য রেখেছেন।কোটি কোটি টাকা খরচ করে বাইরে থেকে লোক নিয়ে সভা করেছে বিজেপি।
তৃণমূলকে কোন টাকা দিয়ে লোক জোরো করতে হয় না।মানুষ তৃণমূলকে ভালোবেসে আসেন।বাইরের লোক আনতে হয় না।বিজেপি দাঙ্গাবাজের দল।জমুলা পার্টি বিজেপি বিভাজনের রাজনীতি করে।কোন চোখ রাঙানি মানবে না বাংলার মানুষ,মানবে না মেদিনীপুরের মানুষ।বিজেপি পাঁচ বছরে মেদিনীপুরে কিছু দেয় নি। মেদিনীপুরের পাঁচ লোকসভা আসন জয়লাভ করা তৃণমূলের অঙ্গীকার,আমি কথা দিতে পারি সবকটি আসন তৃণমূলের হবে। লোকসভা ভোটে ৪২-৪২ আসন তৃণমূলের হবে।আমরা আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দোপাধ্যায়কে দেখতে চাই।