ভাঙড় আন্দোলনের দুই মাথা অলীক ও শর্মিষ্ঠা কেউ নেই । এই প্রথম জমি কমিটির বৃহৎ কর্মসূচির বাইরে। এই পরিস্থিতিতে রবিবার বিকালে মহা মিছিলের ডাক দিয়েছে পাওয়ার গ্রিড বিরোধী আন্দোলনের বর্তমান নেতৃত্ব। মিছিলে ভাঙড় তাঁদের নিজেদের কাছে বড় পরীক্ষা। আর এই পরীক্ষায় তাদের খর্ব
করানোই লক্ষ্য জেলা প্রশাসন তথা শাসক দল তৎপর তবুও কাজের কাজ কিছুই হয়নি প্রশাসন নিজেরা সাধারণ মানুষকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ।
অলীক ও শর্মিষ্ঠা দুই নেই। আন্দোলনের প্রধান এবং বহিরাগত দুই মুখের অনুপস্থিতিতে পাওয়ার গ্রিড বিরোধীদের বড়সড় কোনও সফল জমায়েত মানেই প্রশাসন ও সরকারের চরম ব্যর্থতা। কিন্তু অলীক ধরা পড়ার পর এলাকায় কোনও হিংসাও চাইছে না সরকার। ২০১৯ লোকসভা ভোটের আগে ভাঙড় অশান্তির কারণ যেন না হয় , এমনটা একেবারেই চাইছেন না সরকার তথা প্রশাসনের সর্বময় নেতৃত্বরা ।
এই পরিস্থিতিতে এলাকার মানুষের মধ্যে আস্থা অর্জন করতে সক্রিয় প্রশাসন। গত মাস থেকে ওই এলাকায় মানুষ জনকে নানা সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি এই সমাবেশ তারই সাক্ষী । এরই মধ্যে সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধায় অনিয়মের অভিযোগে পঞ্চায়েত অফিসে তালা লাগিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে ছিল আন্দোলনকারীরা।
বকডোবা মোড় থেকে শ্যামনগর পর্যন্ত দীর্ঘ চার কিমি পথ হেঁটে ৮থেকে ১০ টি গ্রাম ছাড়াও বহু মানুষ এই মিছিল যোগ দেন । মিছিলে ১০ হাজার অধিক মানুষ সমাবেশ যোগ দান করে । শামনগর চৌমাথায সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশ থেকে আওয়াজ ওঠে , “অলীক চক্রবর্তী সহ অন্য আন্দোলনকারীদের নিঃশর্ত মুক্তি, পাওয়ার গ্রিড প্রত্যাহার ও মিথ্যা মামলা খারিজ সহ বিভিন্ন বিষয়ে দাবি তোলেন।”
জমি কমিটি যুগ্ম সম্পাদক মোসারেফ হোসেন বলেন, “আজ জেলা শাসক আমাদের চিঠি দিয়েছে আলোচনায় বসার জন্য ।” বিকাল তিনটা থেকে সন্ধ্যে সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত কোন যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছিল।এর ফলে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছিল।নিত্য যাত্রীরা চরম দূর ভোগে পড়ে।
তৃণমূল নেতা ওহিদুল ইসলামকে ফোন করা হলে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি । আর এক নেতা হবিবর বিশ্বাস বলেন, “আমরা উন্নয়নের সাথী, রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা করতে হবে ”
এদিন উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী ভারতী মুত্সুদ্দি, কবি মন্দাকান্তা সেন,অমলেনডু ভট্টাচার্য, জালাল উদ্দিন আহমেদ,মোসারেফ হোসেন,সুলতান আহমেদ,প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিবগ।