দীর্ঘ দেড় বছর পাওয়ার গ্রিড বিরোধী আন্দোলন শুরু হওয়ার সময় থেকে আন্দোলনরত ১০থেকে ১২টি গ্রাম প্রবল ভাবে সরকারি বঞ্চনার শিকার হয়েছে। শাসকদল গ্রামগুলির ওপর শুধু অর্থনৈতিক অবরোধই জারি করে ক্ষান্ত থাকেনি , সামাজিক,পারিবারিক সকল দিক দিয়ে গ্রামগুলি যাতে কোনোরকম সরকারি প্রকল্পের সুবিধা না পায় তা নিশ্চিত করতেও সচেষ্ট হয়েছিল।এমনকি তাদের খুশি ঈদ ভালো ভাবে কাটেনি। এতদসত্ত্বেও মানুষকে দমানো যায়নি, আন্দোলন সমস্ত চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে।
আন্দোলনরত আজিজ মল্লিক ভাষায়, বিস্ময়মিশ্রিত আনন্দের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে সরকার-প্রশাসন তাদের পূর্বের অনমনীয় মনোভাব থেকে সরে এসে গ্রামবাসীদের তাদের প্রাপ্য সুযোগসুবিধা দিতে সচেষ্ট হয়েছে। বিশেষ করে, এ ব্যাপারে বিডিও অফিস থেকে যথেষ্ট ইতিবাচক সক্রিয়তা দেখানো হচ্ছে। হাঁস-মুরগি বিলি থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট, হিম ঘর, বিভিন্ন উদ্যোগ বিডিও অফিস থেকে নেওয়া হচ্ছে।
বিডিও কৌশিক মাইতি বলেন,”৭০০জন পরিবারের হাতে হাঁস ও মুরগীর ছানা তুলে দেওয়া হয় ।এটা শুধু পোলেরহাট ২নং পঞ্চায়েতের জন্য ও অন্য নয়টি পঞ্চায়েত জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে ।এত দিন দেওয়া হয়নি কেন সে বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এড়িয়ে যান ।
জমি কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মির্জা হাসান বলেন, “আন্দোলনকারী গ্রামগুলিকে ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করার নীতিহীন ও অগণতান্ত্রিক রাস্তা থেকে সরকার-প্রশাসনের সরে আসাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি এবং আন্দোলনের নৈতিক জয় হিসেবে দেখছি।”
আর এক সম্পাদক মোসারেফ হোসেন বলেন, “তার সাথে আমরা এ-ও আশা করছি যে, সরকার অদূর ভবিষ্যতে তার পাওয়ার গ্রিড সংক্রান্ত অনমনীয় মনোভাব থেকেও সরে আসবে এবং জনাদেশকে মান্যতা দিয়ে ভাঙড় থেকে পাওয়ার গ্রিড প্রকল্প সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়ে হাজার হাজার মানুষের জীবন জীবিকা তথা বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ সুরক্ষিত করবে।”তিনি আরও বলেন,যত দিন না পাওয়ার গ্রিড সরছে তত দিন আন্দোলন চলবে, আগামী ৮ই জুলাই আমাদের বড় সমাবেশ রয়েছে তার প্রস্তুতি সভা চলছে প্রতিদিন ।”