রাজ্য সরকার কেন মাওবাদীদের চাকরি দিচ্ছে সে নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মাওবাদী হানায় মৃত পরিবারের সদস্যরা


মঙ্গলবার,২৬/০৬/২০১৮
557

বাংলা এক্সপ্রেস---

মাওবাদী হানায় মৃত পরিবারের সদস্যদের চাকরি ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের মৃত বলে ঘোষণা করতে হবে। মঙ্গলবার এই দাবিতে ঝাড়গ্রাম জেলা শহরের হিন্দুমিশন স্কুল মাঠ থেকে মিছিল পাঁচমাথা মোড় হয়ে ঝাড়গ্রাম জেলা শাসকের অফিসের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ দেখাল মৃত ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের লোকজন। এই অবস্থান বিক্ষোভে ছিলেন পুরুষ ও মহিলারা। ইতিমধ্যে তাঁরা শহীদ ও নিখোঁজ পরিবারের যৌথমঞ্চ গঠন করেছে। এমনকি তাঁদের দাবি না মানা হলে বৃহত্তর অন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, ক্ষমতায় আসার পরে মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মাওবাদীদের হাতে নিহত প্রত্যেক পরিবারকে চাকরি দেওয়া হবে।

কিন্তু হাতে গোনা কয়েকজন ছাড়াও অধিকাংশ জনই কিছুই পায় নি। কিন্তু যেসব মাওবাদীরা খুন করল তাঁরা এখন চাকরি পেয়ে বহাল তবিয়তে রয়েছে। অথচ যাঁদের পরিবারের লোকজন মারা গেল বা নিখোঁজ হয়েছেন তাঁরা এখনও কিছুই পায় নি। জঙ্গলমহলে অশান্তি পর্বের সময় মাওবাদীরা অনেককে খুন করেছে। আবার অনেকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। তাঁরা এখন নিখোঁজ রয়েছেন। আট থেকে দশ বছর হয়ে গেলেও তাঁদের কোন খোঁজ নেই। হাতে গোনা কয়েকটি পরিবার সরকারি চাকরি বা ক্ষতিপূরণ পেলেও অধিকাংশ পরিবারের লোকজন কিছুই পায় নি বলে অভিযোগ। এদিন শহীদ ও নিখোঁজ পরিবারের যৌথমঞ্চ-এর সদস্যরা ঝাড়গ্রাম জেলা শহরে মিছিল করেন। মিছিলে প্রায় দুইশতাধিক এর উপর মহিলা ও পুরুষ প্ল্যাকার্ড হাতে জেলা শাসকের অফিসের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ করেন। এমনকি চাকরি ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে স্লোগানও দিতে থাকে। তার পরে তাঁরা জেলা শাসক আয়েষা. রানী. এ এর কাছে ১১ দফা দাবির একটি স্মারকলিপি জমা দেয়। এরপর তারা ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপারের কাছে ও স্মারকলিপি জমা দেন লমূলত তাঁদের দাবি, শহীদ পরিবারকে একটি করে সরকারি চাকরি দিতে হবে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের মৃত বলে ঘোষণা করতে হবে। কেন্দ্র থেকে দশ লক্ষ টাকা ও রাজ্য থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। মিছলে অংশ গ্রহনকারি দের বক্তব্য দাবি পূরণ না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে যাবার হুমকি দিল নিহত পরিবারের আত্মীয়স্বজন ।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট