আতঙ্কিত  ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের রাধিকাপুরের গ্রামবাসীরা


মঙ্গলবার,২৬/০৬/২০১৮
554

পিয়া গুপ্তা---

কালিয়াগঞ্জে বর্ষা শুরু হবার আগে থেকেই উত্তর দিনাজপুর জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কালিয়াগঞ্জ ব্লকের রাধিকাপুরের  টাঙন নদীর ক্রমাগত ভাঙ্গনে আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। মঙ্গলবার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের রাধিকাপুরের নদীভাঙন পরিদর্শন করলেন উত্তর দিনাজপুরের জেলা শাসক অরবিন্দ কুমার মীনা।জেলা শাসক অরবিন্দ কুমার মীনা জানান তিনি নদী ভাঙ্গনের বেশ কিছু স্থান পরিদর্শন করে দেখেছেন।ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় যা যা ব্যবস্থা নেবার তার ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান। উত্তর দিনাজপুর জেলায় প্রতিবছরের মতো এবারেও ভাঙ্গন শুরু হয়েছে কালিয়াগঞ্জ ব্লকের রাধিকাপুরের টাঙননদীতে।ভারত বাংলাদেশের সীমান্তবর্ত রাধিকাপুরের পাশ্ববর্তী গোটগ্রাম,মির্জাগর,চকদিলাল,বাগচা,শ্রীকৃষ্ণপুর সহ বহু গ্রাম রয়েছে যে গ্রামের বাসিন্দাদের রুটি রুজি যেখানে কৃষির উপর নির্ভর শীল।

সেখানে এই ভাঙ্গন আগামীদিনে যদি আরো ভয়াবহ আকার ধারন করে তাহলে গ্রামের বহু মানুষের কৃষি জমি  নদী বক্ষে চলে যাবার ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। শুধু তাই নয় এর  ফলে বহু গ্রামের মানুষ চরম সমস্যার সম্মুখীন হতে বাধ্য।  গত বছরের ভয়াবহ বন্যার কারনে গ্রাম বাসীরা সর্বশান্ত হবার ফলে কোনরকমে জীবন ধারণ করে বেঁচে আছে। গত বছরের নদী ভাঙ্গনের জন্য গ্রামবাসীরা যে দুর্ভোগের মধ্যে বর্তমানে আছে সে ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের কোন রকম উদ্যোগ নেই।।নদীর পাড় গতবছর থেকে ভাঙতে শুরু করলেও নদীর পারের ভাঙন রোধে আজও কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে গ্রামবাসীরা প্রশাসনের কাজ কর্মে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ।গ্রামবাসীরা জানান,তারা এখন খুবই আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। জানা যায় রাধিকাপুর এর প্রায় ২০ থেকে ২৫ টি গ্রাম টাঙ্গন নদীর  ভাঙ্গনে পড়লেও আজ অবধি ভাঙ্গন প্রতিরোধে কোন ব্যাবস্থায় নেয় নি প্রশাসন। প্রতিবছর তাই বর্ষা আসতেই এই ভাঙ্গনের ফলে খুবই আতঙ্কের মধ্যে তাদের থাকতে হয়।

প্রতিটি রাত যেন তাদের কাছে দুঃস্বপ্নের রাত। গ্রামবাসীরা জানান এভাবে যদি নদী ভাঙ্গনের ফলে তাদের জমি জমা ঘড়বাড়ি চলে যায় নদীর গর্ভে তাহলে তারা কি নিয়ে বেচে থাকবে।রাধিকাপুর গ্রামঞ্চয়েতের বিদায়ী প্রধান    বলেন তাদের গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বার বার নদী ভাঙন রোধে প্রশাসনকে অনুরোধ করলেও আজ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তবে উত্তর দিনাজপুর জেলার নতুন জেলা শাসক অরবিন্দ কুমার মীনা নদী ভাঙন দেখে গেলেন। আশা করছি এবার গুরুত্ব সহকারে ভাঙন রোধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন বলে টাঙ্গন নদীর ভাঙন রোধে আজও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেন এই প্রশ্নের উত্তরে কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি নিতাই বৈশ্য বলেন রাধিকাপুরের টাঙগন    নদীর ভাঙন কিছু কিছু জায়গায় দেখা দিয়েছে একথা ঠিক।আমরা উত্তর দিনাজপুরের জেলা শাসককে  সমস্ত ঘটনা জানিয়ে ছিলাম।জেলা শাসক স্বরজমিনে নদী ভাঙন দেখলেন।আশা করি এবার ভাঙন রোধে কাজ শুরু হবে বলে তার ধারণা।কালিয়াগঞ্জের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক মঃ জ্যাকারিয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান রাধিকাপুরের টাঙ্গন নদীর যেখানে যেখানে ভাঙন দেখা দিয়েছে তা রোধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট