ভাগাড় কাণ্ডের পচা মরা মাংস নিয়ে শোরগোল উঠতে না উঠতেই এখন নকল মুরগী নিয়ে আতঙ্ক রাজ্য জুড়ে


সোমবার,০৪/০৬/২০১৮
939

পিয়া গুপ্তা---

ভাগাড় কাণ্ডের পচা মরা মাংস নিয়ে শোরগোল উঠতে না উঠতেই এখন নকল মুরগী নিয়ে আতঙ্ক রাজ্য জুড়ে । নকল মুরগি শুনলে হয়তো একটু অবাক হবেন।তবে হ্যা এদেশের মুরগির মতো দেখতে হলেও স্বাদে গন্ধে পুরো ফিকে এই সোনালি মুরগি । বাংলাদেশের চোরাপথ থেকে ভারতে ঢুকেই এখন বাজার দাপাচ্ছে এই নকল মুরগী। দাম অপেক্ষাকৃত কম হওয়ায় বেশী লাভের আশায় বাংলাদেশ থেকে পাচার করা হচ্ছে সোনালি বাংলাদেশী মুরগী ।কিছুদিন আগে ভাগাড় কাণ্ডের জেরে রীতিমত খাবারের গুণগত মান নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য ।  সেই রেশ যেতে না যেতে আবারো বাজারে ছেয়ে গেছে বাংলাদেশী সোনা মুরগী । যা দেখতে এই দেশীয় মুরগির মতো হলেও স্বাদে ততটা ভালো নয় । ফলে দাম ও কম । জানা যায় বাংলাদেশের এই সোনা মুরগী বাচ্চা দের দাম প্রতি জোড়া ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় ।অন্য দিকে এদেশের মুরগী দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে । ব্যবসা লাভজনক হওয়ায ভারতীয় মুরগি ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের সোনা মুরগী চাষে আগ্রহী হচ্ছেন ।যেহেতু ভারতে এই মুরগী পাওয়া সম্ভব নয় তাই চোরাপথ থেকেই এই মুরগী ভারতে এসে পৌচাচ্ছে।এবং সস্তায় বাংলাদেশের সোনা মুরগী বাচ্চা কিনে তা ভারতে প্রতিপালন করে তা উত্তর দিনাজপুর,দক্ষিণ দিনাজপুর,মালদা এমনকি প্রতিবেশী রাজ্য আসাম ,বিহার ও ঝাড়খণ্ডেও পৌচে যাচ্ছে ।এক মুরগী ব্যবসায়ী জানান দামে সস্তা ও লাভজনক হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে আনা হচ্ছে সোনা মুরগী । দেখে যদিও এই মুরগী চেনা মুশকিল ।

তবে স্বাদে দেশী মুরগীর মতো সুস্বাদু নয় । সাধারণ মানুষের অভিযোগ নিম্ন প্রজাতির এই স্বাদে ততটা ভালো।মুখে দিলেই তা ধরা পড়ছে । বাংলাদেশের এই মুরগী ও মুরগীর ডিমের দাম কম হওয়ায় রাতের অন্ধকারে এই নকল ভিন্ন স্বাদের মুরগী পাচার করা হচ্ছে । এক মুরগি মাংসের ক্রেতা তপন চক্রবর্তী জানান গত কয়েক দিন আগেই বাজার থেকে দেশী মুরগীর মাংস কিনে নিয়ে যাই তবে এত বছর যে মাংস খেয়ে এসেছি তার থেকে স্বাদে ও অনেকটা তফাত্ পেলাম খেয়ে । পরে খেয়ে সন্দেহ হওয়ায় পরের দিন খোঁজ নিয়ে জানতে পারি।মুরগীটি আসলে দেশী নয।বাংলাদেশের সোনা মুরগী। যা দেখতে একই রকম লাগলেও দেশী মুরগির মতো সু স্বাদের নয। তপন বাবু বলেন বেশী টাকা দিয়ে দেশী মুরগী কিনে বাড়ি আনে খেয়েই ঠকে যাচ্ছি ।

কোন ভাবে রং দেখে এই সোনা মুরগী গুলো চেনার উপায় নেই। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ আগে হাতে গোনা কয়েকটি ফার্ম দেখা গেলেও দিনে দিনে মুরগীর ফার্ম গুলোর সংখ্যা ও বেড়ে চলেছে।কোন বৈধ অনুমতি না নিয়েই ফার্ম গুলো তৈরি করে সেখানে নিম্ন বাংলাদেশী প্রজাতির মুরগী প্রতিপালন করে রাতের অন্ধকারে তা পৌচে যাচ্ছে বিভিন্ন জেলার মাংসের দোকান গুলিতে। আর সেখান থেকেই চরা দামে দেশী মুরগী বলে সোনা মুরগী গুলোক বিক্রি করে ভালো টাকার মুনাফা লাভ করছেন এক শ্রেণীর বিক্রেতারা । স্থানীয় বাসিন্দারা আরো জানান চোরাপথে বিদেশী ওই মুরগী গুলো যাতে ভারতে প্রবেশ না করে সেদিকে বি .এ সেফ ও পুলিশ প্রশাসনের নজরদারি থাকলেও কিভাবে সেই মুরগী ভারতে প্রবেশ করছে। এই ব্যাপারে বি.এ সেফের এক উচ্চপদস্থ কর্তা জানান এই সোনা মুরগী গুলো মূলত হিলি ও মালদা বর্ডার হয়ে ভারতে ঢুকছে আর সেখান থেকেই দক্ষিণ দিনাজপুর,উত্তর দিনাজপুর হয়ে সমস্ত জেলা গুলিতে প্রবেশ করছে। রাতের অন্ধকারে নদী পথে বিশেষ করে এই মুরগী গুলো কে ভারতে পাঠানো হচ্ছে । বিষয় টি নিয়ে স্থানীয় কিছু মানুষ হিলি থানাতে এই ব্যাপারে অভিযোগ করেচে। এই ব্যাপারে খোঁজ চলছে।দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট