পিয়া গুপ্তা ,উত্তর দিনাজপুর: একসময় ভোট এলে দেওয়ালে চোখ আটকে যেত আমজনতার। দেওয়াল লিখনে রাজনৈতিক দলের ছড়া বারবার পড়ে একরকম মুখস্থ করে ফেলতেন ভোটাররা কিন্তু,বর্তমানে সেই দেওয়াল লিখনে কৌতুক ছড়ারচল উঠে গিয়ে ভোটের প্রচারে সোশ্যাল মিডিয়ানজর কাড়ছে।একসময় ভোট প্রচারের অঙ্গহিসেবে দেওয়ালে লেখা ছড়া নিয়ে আলোচনায় পাড়ায় পাড়ায় ঠেক জমে উঠত এখন অবশ্য ভোটের ময়দানে সেসব নিয়ে তেমন চর্চা হয় না ।
নজরকাড়ার মতো ভোটের দেওয়ালে কোনওলেখা চোখেও পড়ে না তবে, কংক্রিট বা মাটিরদেওয়ালে জনতার চোখ না থাকলেও সোশ্যালমিডিয়ার ওয়ালে টিপ্পনি দেখে পঞ্চায়েতনির্বাচনের আগে বেশ মজা পাচ্ছে জনগণ।
আটথেকে আশি সবাই তা উপভোগও করছে। সব রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড নিয়ে সোশ্যালমিডিয়ায় চলছে টিপ্পনি। প্রবীণ নেতারা বলেন, সাতের দশকে বিখ্যাতদেওয়াল লিখন ছিল, ‘দিল্লি থেকে এল গাই,বাছুর হল সিপিআই’। দেওয়ালে কমিউনিস্টদেরটিপ্পনি কেটে লেখা হতো ‘সিপিএমের দুটি কন্যা,একটি খরা অন্যটি বন্যা’। আবার, ‘দিনে চাঁদারাতে ফিস্ট, এরাই হল কমিউনিস্ট’।
আবার নির্বাচনের আগে গ্রাম বাংলার দেওয়াল ভরেউঠত ‘পাঁচ পয়সায় দুটি বিড়ি, জ্যোতিবাবুরগলায় দড়ি’। রাজনৈতিক মহলের মতে, আগে দেওয়াল লিখন দেখলে জনগণ ভোটের সময় মজা পেতেন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ছড়া লেখাহতো। অনেক সময় হয়তো সব ছড়া তেমন অর্থবহন করত না। কিন্তু, তা পড়ে সব দলেরই কর্মী, সমর্থকরাহাসাহাসি করতেন। এখন অবশ্য দেওয়াললিখনে সেই কৌতুক নেই।বরং ভোট প্রচারেসর্বত্রই আক্রমণাত্মক মেজাজই দেখা যায়।ব্যক্তিগত আক্রমণ দেওয়ালে বেশি করে ফুটেওঠে।তবে, সোশ্যাল মিডিয়ার ওয়াল জনগণের মনজয় করছে।
জেলার এক প্রবীণ তৃণমূল নেতা বলেন, আটের দশকে আমরা নিজেরাই রাতজেগে ছড়া লিখতাম।দেওয়ালে বিরোধীদেরআক্রমণ করে কী লেখা হবে, তা নিয়ে সবারমধ্যে চর্চা চলত কিন্তু, এখন সেসব দিনকোথায়? জেলা বিজেপি নেতা বলেন, ছড়ারমধ্যে আলাদা মজা পাওয়া যেত।