দক্ষিন দিনাজপুরঃ রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে জনগণের বিশ্বাস বা আস্থা অর্জনে যখন রাজনৈতিক দল গুলি মরিয়াভাবে প্রচেষ্টারত সেই সময় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের ২ নং সমজিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সুবর্ণ শহীদ গ্রাম সংসদের সংখ্যা লঘু নির্দল প্রার্থী সঈদূর চৌধুরী নিজ জয়ের বিষয়ে আশাবাদী। সুবর্ণ শহীদ গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলেও উঠে এল সঈদূর চৌধুরীর উপর তাদের আস্থার একই প্রতিচ্ছবি।
কুমারগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির অভ্যন্তরস্থ ২নং সমজিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৭টি গ্রাম সংসদ। আর এই সমজিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সুন্দরপুর গ্রাম সংসদ থেকে নির্দল প্রার্থী হয়েটানা ৩বার ভোটে জিতে দীর্ঘ ১৫ ধরে নিজের উপরে জনগণের আস্থাকে অক্ষুন্ন রেখেছেন সঈদূর চৌধুরি। কিন্তু এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে সুন্দরপুর সংসদের আসনটি মহিলা সংরক্ষিত হওয়ায় এই আসনটি থেকে তার মা জয়নুর বেওয়া চৌধুরী নির্দল প্রার্থী হয়েছেন এবং সুন্দরপুর গ্রাম সংসদের পার্শ্ববর্তী সুবর্ণ শহীদ গ্রাম সংসদ থেকে আবারো নির্দল প্রার্থী হয়েছেন।
রাজ্য রাজনীতির পট পরিবর্তনের পর থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীরা যখন দলবদল করতে ব্যাস্ত সেই সময় নৌকা প্রতীক নিয়ে টানা ৩ বার জয়লাভ করা এই প্রার্থী ভরসা রাখছেন নিজেকে নির্দল রেখেই। বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচনী ফলাফল ত্রিশঙ্কু হয়। তখন এই নির্দল প্রার্থী সঈদূর চৌধুরী কোন রাজনৈতিক দলের হাত ধরেন নি। এমনকি পরবর্তীতে এই গ্রাম পঞ্চায়েতে অনাস্থা প্রকাশের ঘটনা সামনে আসলেও তিনি নিজের নির্দল অবস্থানকে ধরে রাখতে সমর্থ হন। রাজনৈতিক দলে যোগদান না করার প্রভাব তার এলাকা উন্নয়নকে স্তব্ধ করতে বা বাধা দিতে পারে নি।
তাই গ্রাম পঞ্চায়েত পরিচালনায় যে দলই থাকুক না কেন পি.এইচ.ই-র পানীয় জলের ট্যাপ লাইন হোক বা রাস্তাঘাট সবই গ্রামবাসীদের জন্য তিনি লড়াই করে আদায় করে নিয়েছেন। রাত্রে গ্রামের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে বিপদের বন্ধু হিসাবে হাসপাতালে ছোটার অভ্যাসের কথা এখন তাই গ্রামবাসীদের মুখে মুখে। তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি এই সংসদে নিজেদের প্রার্থী দাঁড় করালেও কংগ্রেস এবং সি.পি.আই(এম) এবার নির্দল প্রার্থী সঈদূর চৌধুরীর বিরুদ্ধে কোন প্রার্থী দেয় নি। রাজনৈতিক দলের নেতাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণের ব্যার্থতায় নির্দল প্রার্থী সঈদূর চৌধুরীর বিশ্বাসযোগ্যতা এখন তাই সুন্দরপুর এবং সূবর্ণ শহীদ গ্রামের মানুষদের কাছে আকাশছোঁয়া সম।