পিয়া গুপ্তা ,উত্তর দিনাজপুর: উত্তর দিনাজপুর জেলা জুড়ে বহু মার্ক -2 নলকূল দীর্ঘ দিন ধরে বেহাল হয়ে পড়ে থাকায় বহু গ্রাম জলের সমস্যায় ভুগছেন।দীর্ঘ দিন ধরে সমস্যার কোন সমাধান না হওযায এক রাশ ক্ষোভ জমেছিল গ্রাম বাসীদের মনে।সমস্যার সমাধান না হলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রচারে গিয়ে গ্রাম বাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হবে তা আগে থেকেই জানতো ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক নেতারা।তাই এই আশঙ্কায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর(পি এইচই) নলকূপ সারাইয়ের উদ্যোগ নিয়েছে ।ইতিমধ্যে উত্তর দিনাজপুর জেলায় এটি পাইলেট প্রজেক্ট হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ।বছর খানেক আগে থেকে কিছু মানুষকে প্রশিক্ষণ দিয়ে জেলার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় খারাপ হয়ে পড়া
নলকূপ গুলি সারানোর ব্যাবস্থা করা হয় ।তার পর ও জেলার প্রচুর মার্ক -2 নলকূল বেহাল হয়ে পড়ে আছে।এর ফলে গ্রামের বহু মানুষ পানীয় জলের পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হয়ে আছে। জলকষ্টের ফলে যেমন বিস্তীর্ণ এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা দেখা দিচ্ছে তেমনি সেচের জলেও টান পড়ছে। এই সমস্যার কথা মাথায় রেখে প্রশাসন ইতিমধ্যেই এলাকায় মার্ক-২ টিউবওয়েল, সাধারণ টিউবওয়েল গুলিকে সারানোর উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে।
পাশাপাশি পরিস্থিতি সামাল দিতে পুরসভা থেকে পানীয় জল সরবরাহ করা হচ্ছে বলে ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে। পি এইচই দপ্তর থেকে জানা যায় 12 হাজার মার্ক -2 নলকূপের মধ্যে প্রায় 20 শতাংশ খারাপ হয়ে রয়েছে । ফলে ওই সমস্ত এলাকায় জলের সমস্যা দেখা দিচ্ছে ।জলের কষ্টে দিন কাটানো মানুষ গুলো বক্তব্য, গরম পড়তেই গ্রামের মার্ক-টু নলকূপ অকেজো।পুকুরের ঘোলা জল ভরসা এখন। কাপড়ে ছেঁকে ওই নোংরা জল ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। প্রতিবারই ভোট নিতে আসেন নেতারা।তবে ভোটের সময় প্রতিবার কাজ করবেন বলে আশ্বাস দিয়ে চলে যান, আর ভোট শেষে তাদের পাত্তা পাওয়া যায় না।তবে এবার যদি এই রকম ই চলতে থাকে তবে আর ভোট দিবেন না তারা। ভোট বয়কট করবেন বলেও অভিযোগ জানান বহু গ্রাম বাসী।মুস্তাফানগর গ্রামের মহিলা রেশমা বেগম বলেন জলের কষ্ট দূর না হইলে ভোট দিব না বাপু। নেতারা প্রতিবারই নিজেদের কাজের সময় আসে।ভোট শেষ হলে তাদের দেখা পাওয়া যায় না।