দক্ষিণ দিনাজপুরঃ
নিজের শ্লীলতাহানি ও অপমান সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হল এক বিধবা মহিলা। হিলি থানার বাসুদেবপুর দক্ষিণপাড়া এলাকার ঘটনা। মৃতের নাম সুধা রায়(৩৮)। গতকাল রাতে নিজের ঘরেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় সে। সোমবার সকাল দশটার দিকে বিষয়টি নজরে আসে পরিবারের। খবর দেওয়া হয় হিলি থানায়। পুলিশে এসে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট হাসপাতালে পাঠানো হয়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হিলি থানার পুলিশ। ঘটনায় দু’জনকে আটক করেছে হিলি থানার পুলিশ বলে সূত্রের খবর.
জানা গেছে, সুধা রায়ের স্বামী বছর পাঁচেক আগে মারা যায়। একমাত্র ছেলে কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে থাকে। সুধাদেবী বাড়িতে একাই থাকতেন। অভিযোগ, সপ্তাহখানেক আগে পাড়ার নিখিল বর্মণ নামে এক ব্যক্তি ওই বিধবার বাড়ি ঢোকে। রাতের অন্ধকারে বাড়ি ঢুকে শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করে। ঘটনার পর দিন হিলি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ওই মহিলা। ঘটনায় ওই মহিলাকে হিলি বাজারে মহিলাকে ধরে মারধর করা হয়। এদিকে অভিযোগ দায়ের করতে রাজনৈতিক চাপ আসতে শুরু করে ওই মহিলার উপর। অবশেষে বাধ্য হয়ে গতকাল হিলি থানা থেকে সেই অভিযোগ তুলে নেন সুধাদেবী। অভিযোগ তুলে নিতেই নিখিল বর্মণ ও তার পরিবারের লোকজন সুধাদেবীকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল কথাবার্তা বলে। এরপরই রাতেই নিজের ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় ওই মহিলা।
সকালে ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পায় পরিবারের লোকজন। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ঘটনাস্থলে আসে হিলি থানার পুলিশ। মৃতদেহটি উদ্ধার করে তা বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হিলি থানার পুলিশ। অন্য দিকে এই ঘটনায় দু’জনকে আটক করেছে হিলি থানার পুলিশ বলে সূত্রের খবর।
এবিষয়ে মৃতার ভাই মিলন রায় জানান, কয়েক দিন আগে অভিযুক্ত নিখিল বর্মণ তার বোনের বাড়িতে ঢোকে। সীমানার বেঁড়া ভেঙে ভেতরে ঢোকে সে। চেষ্টা করে শ্লীলতাহানির। এক বাড়িতে তার বোন একাই থাকত। অবশেষে অপমানে গতকাল গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় সে। ঘটনায় অভিযুক্তর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন তিনি।অন্য দিকে হিলি থানার পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।