শুভ বিশ্বাস:
তৃতীয় টেস্টে এমন নজির এর আগে কখনো ক্রিকেট ময়দানে দেখা যায়নি। পেসারদের দাপটে চুর্ন বিচুর্ন হয়ে গেল দক্ষিন আফ্রিকার প্রথম সারির ক্রিকেটাররা। বোলারদের দাপটে ওয়ান্ডারার্সে অপরাজিত থাকার ধারা অব্যাহত রাখল ভারতীয় ক্রিকেট দল। সেইসঙ্গে পুরো সিরিজ জুড়েই দেখা গিয়েছে ভারতীয় পেসারদের দাপট।ওয়ান্ডারার্সে জিততে হলে দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৪১ রান করতে হত। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা
১৭৭ রানে অল আউট হয়ে যায়। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার এই তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে একটা নয়া নজিরও তৈরি হয়েছে। সিরিজে দুটি দলেরই সবকটি উইকেট, অর্থাত্ তিন টেস্টে দুটি করে ইনিংসে মোট ১২০ টি উইকেট পড়েছে ।ম্যাচের গতিপ্রকৃতি অনুযায়ী তৃতীয় দিনের শেষে ভারতই এগিয়ে ছিল। অন্যদিকে দক্ষিন আফ্রিকার সামনে ছিল হোয়াইট ওয়াসের হাতছানি। ভারতীয় পেসাররা তাদের স্বপ্নে এভাবেই ভঙ্গ করে দেবে তা ভাবতে পারিনি প্রোটিয়া শিবির।
ক্রিকেটের ইতিহাসে এমন নজির সত্যি খুব ই কম। যেহেতু দক্ষিন আফ্রিকার নিজের মাঠে খেলা এই টেস্টে তাদের অ্যাড ভান্টেজ ছিল অনেকখানি। সবমিলিয়ে রোমাঞ্চকর টেস্ট দেখতে পেল ক্রিকেট বিশ্ব। টেস্ট সিরিজে উভয় দলের বোলারদেরই দাপট ছিল চোখে পড়ার মতো। ব্যাটসম্যানদের বোলারদের মোকাবিলা করতে হিমশিম খেতে হয়েছে। এছাড়াও জসপ্রিত বুমরা অভিষেক সিরিজেই ১৪ উইকেট নিয়েছেন। মর্নি মর্কেল ১৩ এবং ২ টেস্টে ভূবনেশ্বর কুমার ১০ টি উইকেট নিয়েছেন।
বাংলার তনয় মহম্মদ সামির বোলিং জাদুতে সহজেই ভেঙে পড়ল দক্ষিন আফ্রিকার ব্যাটিং লাইন আপ। দক্ষিন আফ্রিকার সামনে লক্ষ্য ছিল ২৪১ রানের। যদিও প্রথম দিকে তাদের ব্যাটিং লাইনাপে আঘাত হানতে পারিনি ভারতীয় পেসাররা। সময়ের সাথে বাউন্স পিজে তাল মিলিয়ে বোলার রা একের পর এক আঘাত হানে প্রোটিয়া শিবিরে। বোলারদের এই দাপটের মধ্যে সিরিজে সবচেয়ে বেশি রান ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলির।দক্ষিন আফ্রিকার মাটিতে ঐতিহাসিক জয় ভারতের। এই টেস্টের অনন্য নজির বঙ্গ সন্তান মহম্মদ সামির বোলিং এর কৃতিত্ব ছিল অনেকখানি। এই টিম নিয়ে বিদেশ সফরে ভালো ফলাফল করবে টিম ইন্ডিয়া তা নিয়ে আশাবাদী ক্রিকেট মহল।