কিংকর মণ্ডল,মধুমিতা মণ্ডল: বাঙালীর মিষ্টি প্রীতির কথা জগত জোরা। রসের সাগরে শায়িত ধবধবে সাদা স্পঞ্জের মত মিঠাই বঙ্গীয় মিষ্টি ভান্ডারের চুড়ামনি। রসগোল্লা কার?আশির দশক থেকে এই নিয়ে বাংলা উড়িষ্যার দ্বন্ধ.জিআই কর্তৃপক্ষ রসগোল্লা ভরা রোসের স্বত্ত্ব বাংলাকেই দিল. আর এই রসগোল্লাকে নিয়ে চলা লড়াই শেষে ওড়িশাকে হারিয়ে জয়ের শিরোপা উঠল বাংলার মাথায়। এই দাবিতে বাংলার কথায় ১৮৬৮ সালে নবীন চন্দ্র দাস নামের কলকাতার এক চিনি ব্যবসায়ী প্রথম রসগোল্লার আবিষ্কার করেন। অন্যদিকে ওড়িশা সরকারের দাবি ছিল পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ভোগ হিসাবে তৈরী ক্ষীরমোহনই বাংলায় রসগোল্লা নামে পরিচিত। জানা গেছে এই ভোগের প্রথা ৩০০ বছরেরও পুরোনো।
দীর্ঘ এই লড়াই এর পর বাংলার ভৌগলিক অবস্থানের সঙ্গে রসগোল্লা তৈরীর পদ্ধতি ও গুনাগুন বিচার করে জিআই থেকে স্বীকৃতি পেল রসগোল্লা কলকাতারই। স্বীকৃতি পাওয়ার পর রসগোল্লার ব্রান্ডিংয়ে নজর দেয় নবান্ন। জিআই পাওয়ার পর আনন্দে মেতে ওঠে বাংলা।দাবি ওঠে ১৪ই নভেম্বর রসগোল্লা দিবসের। যদিও জিআই স্বীকৃতি যেকোন রাজ্যই পেতে পারে নিয়ম মেনে আবেদন করলে। জানালেন জিআই কর্তৃপক্ষ।