তৌহিদুর রহমান আফনানঃ আধুনিক ক্রিকেটে সবচেয়ে জনপ্রিয় সংস্করণ টি২০। কুড়ি ওভারের ম্যাচে ব্যাট বলের লড়াই দেখতে মুখিয়ে থাকেন দর্শকরা। একবিংশ শতাব্দীর এই যুগে, কে কত কম বলে সেঞ্চুরি করবে, যেন সে যুদ্ধেই ঝাপিয়ে পড়েছেন ক্রিকেটাররা। বিশ্ব ক্রিকেটে প্রতিদিনই পুরাতন রেকর্ড ভেঙে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন রেকর্ড।
পাঠকদের আজ পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি টি২০ ফর্মে রেকর্ডধারী দ্রুততম ১০ সেঞ্চুরিয়ানের-
টি২০ ক্রিকেটে দ্রুততম শতরানের মালিক যৌথভাবে দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলার এবং ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা। ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করে দুজনই রয়েছেন দ্রুততম দশ সেঞ্চুরিয়ানের শীর্ষে। পচেফস্ট্রোমে এ মৌসুমেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শতরান করেন মিলার। আর গত সপ্তাহেই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ইনদওরে ৩৫ বলে শতরান করে মিলারের পাশে শীর্ষস্থানে নাম লোখান রোহিত শার্মা।
দ্বিতীয় স্থানে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার রিচার্ড লেভি। ২০১২ সালে হ্যামিলটনে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৪৫ বলে শতরানটি করেন এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান।
টি২০ ক্রিকেটে যৌথভাবে তৃতীয় দ্রুততম শতরানের মালিক দক্ষিণ আফ্রিকার ফাফ ডু’প্লেসি এবং ভারতীয় ক্রিকেটারর কেএল রাহুল। দুজনই ৪৬ বলে শতরান দুটি করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে।
৪৭ বলে সেঞ্চুরি করে চতুর্থ দ্রুততম শতরানের রেকর্ড তালিকায় যৌথভাবে রয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার অ্যারোন ফিঞ্চ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল। ফিঞ্চ ও গেইল উভয়েই শতরান করেন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে।
তালিকার পঞ্চম স্থানে রয়েছেন এভিন লুইস। ভারতের বিরুদ্ধে ৪৮ বলে শতরান করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই ব্যাটসম্যান।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৪৯ বলে শতরান করে এ তালিকার ষষ্ঠ স্থান দখল করে রয়েছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
৫০ বলে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করে তালিকার সপ্তম স্থানে রয়েছেন কিউই তারকা ক্রিকেটার ব্র্যান্ডন ম্যাকালাম।
অষ্টম স্থানে রয়েছেন প্রাক্তন কিউই অধিনায়ক ম্যাকালামই। নিউজিল্যান্ডের এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ৫১ বলে শতরান করেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে।
৫২ বলে শতরান করে যৌথভাবে নবম স্থানে রয়েছেন আফগানিস্তানের মুহাম্মদ শাহজাদ এবং নিউজিল্যান্ডের কলিন মুনরো। জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে শাহজাদ এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কলিন এই সেঞ্চুরি করেন।
তালিকার দশম স্থানে রয়েছেন এভিন লুইস। যিনি একইসাথে ৫ম স্থানেরও মালিক। কিংস্টোনে ভারতের বিরুদ্ধে ৫৩ বলে শতরান করেন লুইস।