আফনানঃ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর সেদেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনে থেকে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা করায় ট্রাম্প প্রশাসনের বিরোধীতা করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বেশ কয়েকটি ইসলামিক রাজনৈতিক দল ও সংগঠন। মিছিল পরবর্তী সমাবেশ থেকে ট্রাম্পের ঐ সিদ্ধান্তের কড়া প্রতিবাদ জানিয়ে মার্কিন পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছেন নেতাকর্মীরা।
এর আগে গত সপ্তাহে হেফাজতে ইসলাম নামের একটি সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস অভিমুখে মিছিল নিয়ে যাত্রা করলে দূতাবাস থেকে অনেক দূরেই পুলিশ বাধায় তা পণ্ড হয়ে যায়।
শুক্রবারের ঐ বিক্ষোভে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বলেন, ‘ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানীর স্বীকৃতি দিয়ে অবৈধ ইসরায়েল ও ইহুদিদের দালালে পরিণত হয়েছেন। বিশ্ব মুসলিম নেতারা ও মুসলমানরা ট্রাম্পের এ স্বীকৃতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। সুতরাং ট্রাম্পকে এ স্বীকৃতি বাতিল করতে হবে । মুসলমানদের প্রথম কেবলার স্থান জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী ঘোষণা করতে হবে। ট্রাম্প এ ঘোষণা বাতিল না করলে মুসলিম বিশ্ব যেভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, তাতে জেরুজালেম ইসরায়েলের রাজধানী নয় ইসরায়েলের কবরস্থানে পরিণত হবে।’
ইসলামি কানুন বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মাওলানা আবু তাহের জিহাদী বলেন, ‘জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে মুসলমানদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। জেরুজালেম ফিলিস্তিনের রাজধানী। এটি সবসময় ফিলিস্তিনেরই রাজধানী থাকবে। শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বিশ্ব শান্তির জন্য এটি এখন সময়ের দাবি।’
উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণার পরেরদিনই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বিরোধীতা করে বক্তব্য দেন। পরে বুধবার ইস্তাম্বুলে ওআইসির জরুরী সম্মেলনে অংশ নিয়ে সেদেশের রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের মধ্যে শান্তি আলোচনার উপর জোর দিয়ে বক্তব্য রাখেন। এর আগে ট্রাম্পের ঐ স্বীকৃতির পর বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামী ও শিবির পরপর দুদিন দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল করেছিলো। এছাড়াও “জেরুজালেম ইসরাইলের রাজধানী” বক্তব্যের বিরোধীতা করে বিবৃতি ও বক্তব্য দিয়েছেন সেদেশের বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডেন্ট এরশাদ।