তৌহিদুর রহমান আফনানঃ খ্রিষ্টীয় ধর্মের সবচেয়ে বড় উৎসব হলো Christmas বা Christmas Day. যা বাঙালীদের কাছে বড়দিন হিসেবে পরিচিত। যিশুখ্রিস্টের জন্মদিন ২৫শে ডিসেম্বর Christmas day পালন করা হলেও এইদিনই যিশু পৃথিবীর বুকে এসেছিলেন কি না, তার সঠিক কোন তথ্য এখনো অজানা। কিন্তু আদি খ্রিষ্টানিদের বিশ্বাস অনুযায়ী ২৫ ডিসেম্বরের ঠিক নয় মাস পূর্বে মেরীর গর্ভে আসেন যিশু। কিছু কিছু ঐতিহাসিকগণ মনে করেন এটি একটি রোমান উৎসব। মূলত খ্রিষ্টীয় ধর্মাবলম্বীদের উৎসব হলেও অনেক অ-খ্রিষ্টীয় সম্প্রদায়ও Christmas উৎসব পালন করে থাকেন।
পৃথিবীর বেশিভাগ দেশে ২৫শে ডিসেম্বর বড়দিন পালিত হলেও রাশিয়া, জাজিয়া,মিশর,আর্মেনিয়া, ইউক্রেন ও সার্বিয়ার মতো কিছু ইস্টার্ন ন্যাশনাল চার্চ ৭ জানুয়ারি বড়দিন পালন করেন। কারণ, জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের ২৫ ডিসেম্বরের প্রামাণ্য জার্জিয়ান ক্যালেন্ডারের ৭ জানুয়ারি।
বড়দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও জনপ্রিয় প্রথা হলো, গির্জায় উপাসনায় যোগ দেওয়া। গৃহসজ্জা ও উপহার আদানপ্রদান Christmas উৎসবের অন্যতম অংশ। বিভিন্ন ধরনের আলোকসজ্জার মাধ্যমে গির্জা ও তার আশেপাশের এলাকা সজানো হয়। অনেকে ছোট পুতুল ও আলো দিয়ে নিজেদের ঘরবাড়িও সজ্জিত করেন।
উপহারের মধ্যে অন্যতম আকর্ষণ ‘শুভেচ্ছা কার্ড’ সাধারণত ক্রিসমাসের পূর্বের সপ্তাহগুলোতে বন্ধু-বান্ধব ও পারিবারিক সদস্যদের মধ্যে এ কার্ডের আদানপ্রদান চলে। শুভেচ্ছা বার্তার চিরচায়িত বাণী হলো “পবিত্র ক্রিসমাস ও শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন” ( wishing you Merry Christmas & Happy new year). অনেক দেশে এ শুভেচ্ছা বার্তা ও উপহার পাঠানোর জন্য ‘স্মারক ডাকটিকিট’ প্রকাশ করা হয়। ক্রিসমাস সিল সম্বলিত ঐ ডাকটিকিটে এক বছরের বৈধতা দেওয়া হয়।
অনেকে বড়দিন উপলক্ষে বিশেষ বিশেষ খাবার দিয়ে পারিবারিক ভোজসভার আয়োজন করেন। কিন্তু দেশ ও সাংস্কৃতিক ভিন্নতায় খাবারের মেনুরও ভিন্নতা দেখা যায়। সিসিলি প্রভৃতি কয়েকটি অঞ্চলে ক্রিসমাসের পূর্বসন্ধ্যায় বারো পদের মাছ দিয়ে ভোজসভার আয়োজন করা হয়। ইংরেজ সাংস্কৃতির দেশগুলোতে সাধারণত টার্কি (উত্তর আমেরিকা থেকে আনা বিশেষ খাবার), আলু,শাকসবজি, সসেজ ও গ্রোভি ভোজসভার অন্যতম মেনু হিসেবে গণ্য হয়। এছাড়াও ক্রিসমাস পুডিং, মিন্স পাই ও ফ্রুট কেক ভোজসভায় শোভা পায়। অন্যদিকে ফিলিপিনসের ভোজসভার প্রধান খাদ্য “হ্যাম”। বড়দিনে বাঙালির প্রিয় খাবার কেক।