সত্যজিৎ মন্ডল: “ভাঙড়ে আরাবুল ছিলো, আছে, থাকবে।” মাইকের উপার থেকে কথাগুলি বলছিলেন প্রদীপ মণ্ডল। যিনি আরাবুল পন্থি অন্যতম নেতা। “গান্ধী মূতি পদদেশে চল” ডাকে সারাদিতে ভাঙড়ের কাশিপুর থানার ঢিল ছোড়া দূরত্বে আরাবুল অনুগামীরা এদিন কর্মী সম্মেলন করেন।আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে উক্তিটি করেন প্রদীপ বাবু। যদিও এদিনের কর্মী সম্মেলন জনসভাতে রুপ নেয় সাধারণ মানুষের নির্ভীক উপস্থিতিতে। এক ঘন্টার এই রাজনৈতিক কর্মসূচীতে সাধারণ মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মত। প্রধান বক্তা আরাবুল ইসলাম। মাইক হাতে নিতেই জনতার করতালি, পরিবেশ গরম করা ভাষণের অপেক্ষা। কিন্তু এসব কিছু বাদ দিয়ে আরাবুল ইসলাম ক্ষমা চাইছেন সাধারণ মানুষ ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে। কারণ এক আজ ইসলামীয় পবিত্রদিন। দ্বিতীয়ত সাধারণ মানুষের উজ্জ্বল উপস্থিতি তে বাধ্য হয়ে রাস্তা বন্ধ করে সভা করা।
ক্ষমা পর্ব সমাপন করে মূলত দুটি বিষয়ের উপর তিনি আলোকপাত করতে চাইলেন। এক, আগামী ৬ই ডিসেম্বর গান্ধী মূর্তি পরদেশে ঐতিহাসিক জনসভাতে যোগদান করারজন্য সাধারণ কর্মীদের অনুরোধ। আর দুই আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে আদেশ দেবেন অক্ষরে অক্ষরে তা পালন করার অঙ্গিকার। ভোটে দাঁড়াতে মানা করলে তিনি ভোটে দাঁড়াবেন না। বিগত দিনে বিধানসভা ভোটে যে ভাবে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর কথা শুনেছেন আসন্ন ভোটেও একই ভাবে মেনে চলবেন। পাশাপাশি তিনি সাধারণ মানুষ কে সঙ্গত হয়ে দলের হয়ে কাজ করে যেতে অনুরোধ করেন।
আরাবুল আছে আর বিতর্ক থাকবে না সেটা হয় না। রাস্তা বন্ধ করে সভা করার অভিযোগ উঠেছে, এবং সিপিএম এর একটা বড় অংশ ভিড় করেছে বলেন এক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পার্টি কর্মি জানান। তিনি আর জানান এরা কেউ তৃণমূল করবে না বলে। যদিও এদিনের ভিড় কিন্তু আরাবুল বিরোধী দের জোড় ধাক্কা সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। আরাবুলের ডাকে সাধারণ মানুষের এমন জমায়েত প্রমাণ করে আরাবুল আছেন স্বমহিমায়। এদিনের সভার সভাপতিত্ব করেন হাকিমুল ইসলাম।