মুর্শিদাবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবীতে ছাত্র আন্দোলনকে সমর্থন করল ফ্রাটারনিটি মুভমেন্ট


রবিবার,১৯/১১/২০১৭
836

ডি‌জিটাল ডেক্স: মুর্শিদাবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবীতে চলমান ছাত্র আন্দোলনকে সঙ্গত বলে মন্তব্য করলেন ফ্রাটারনিটি মুভমেন্টের রাজ্য কনভেনর আরাফাত আলি। তিনি বলেন, স্বাধীনতার সত্তর বছর পরও রাজ্যের বৃহত্তম জনসংখ্যা বিশিষ্ট জেলায় উল্লেখযোগ্য কোন কলেজ নেই, নেই কোনো বিশ্ববিদ্যালয়। অথচ তথাকথিত বাংলার রুপকার বিধানচন্দ্র রায় থেকে সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের মন্ত্রীসভা এই পশ্চাদপদ জেলায় শিক্ষা বিকাশের জন্য কোনো সদার্থক ভূমিকা গ্রহণ করেনি। তারা একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন ও বোধ করেনি বলেও অভিযোগ করেন আরাফাত আলি।

তিনি আরও বলেন, ‘বামফ্রন্টের চৌত্রিশ বছরের ‘স্বর্ণযুগের’র জননেতারাও মুর্শিদাবাদে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রয়োজন মনে করেনি। বর্তমানে তৃণমুল সরকারও এর ব্যাতিক্রম নয়। প্রতি জেলায় নতুন নতুন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন পেলেও বঞ্চিত শুধু মুর্শিদাবাদ।’ তার কথায়, ‘ফ্রাটারনিটি মুভমেন্ট মনে করে, এই জেলায় সংখ্যালঘু মানুষের অধিক বসবাস বলেই এই বঞ্চনা। এটা সমগ্র মুর্শিদাবাদের মানুষের অপমান।’

আরাফাত আলির কথায়, এই জেলা থেকে নির্বাচিত জন প্রতিনিধি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও পরে ভারতের রাষ্ট্রপতি হলেও মুর্শিদাবাদ যে তিমিরে ছিল সে তিমিরেই রয়ে গেছে। তাই এই বঞ্চনার বিরুদ্ধে মুর্শিদাবাদের ছাত্র-যুব জনতা প্রতিবাদে মুখর হয়েছে, আন্দোলনে সামিল হয়েছে। এই আন্দোলনকে ফ্রাটারনিটি মুভমেন্ট সর্বতভাবে সমর্থন করে এবং মুর্শিদাবাদের আপামর জনতাকে এই আন্দোলনে সামিল হতে আহ্বান জানায়।

আরাফাত আলি বলেন, ‘ফ্রাটারনিটি মুভমেন্ট রাজ্য সরকারের কাছে বলিষ্ঠ দাবি জানাচ্ছে অবিলম্বে মুর্শিদাবাদে একটি পুর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন করে, মুর্শিদাবাদের জনতার দীর্ঘদিনের দাবী পুরণ করা হোক। অন্যথায় আমরা বিশ্ব বিদ্যালয়ের দাবীতে বৃহত্তর আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ব।

(প্রেস রিলিজ-১৯.১১.২০১৭)

 

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট