মোহাঃ বেলালউদ্দিন মন্ডল -মুর্শিদাবাদ: বাল্য বিবাহ আমাদের দেশে এখনো হয়। আমাদের রাজ্যেও। এর মুলে রয়েছে দারিদ্র আর্থ সামাজিক গঠন,ধর্মীয় আচার ,লিঙ্গ বৈষম্য এবং কন্যার সামাজিক নিরাপত্তার ভাবনা।শিশুর অধিকার দৃষ্টিকোণ থেকে আইনগত শিশুর বয়সের সীমা ১৮ বছর।এই আইন পৃথিবীর সব দেশেই বলবৎ। ১৮ বছর পর্যন্ত শিশুর অধিকার রয়েছে তার শৈশবকে উপভোগ করার । ১৮ বছরের আগে বিয়ে শিশুর অধিকারকে ব্যাহত করে।কৌশোরের বিকাশ স্বাস্থ্য তো বটেই এছাড়া ভবিষ্যত প্রজন্মের স্বাস্থ্যর উপর ও বাল্য বিবাহের মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে ,ব্যাহত হয় শিশুর সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকার অধিকার,শিশুর অধিকার এক কথায় শিশুর মৌলিক অধিকার প্রায় সবগুলিই। ২০১১ সালের জনগণনার তথ্য বলছে যে,ভারতবর্ষের ৫০ শতাংশ বধুই বালিকা ,পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এই হার আর ও বেশি।
১৯২৯ সালে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ আইন (সারদা আইন) তৈরি হয়। ১৯৭৮ সালে এই আইন সংশোধিত করে বিবাহকালীন বয়সের সীমা ছেলেদের ক্ষেত্রে ২১ বছর ও মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৮ বছর ঠিক জরা হয়। ২০০৬ সাল থেকে নতুন আইন (প্রোহিবিসন অফ চাইল্ড ম্যারেজ এক্ট) প্রণয়ন করে বাল্য বিবাহ কে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। তাই ২১ বছরের নিচে ছেলেদের ও ১৮ বছরের নিচে মেয়েদের বিবাহ দন্ডনীয় অপরাধ। এই বিষয়টা নিয়ে জবালা আকসন রিসার্চ অর্গানাইজেশন একটি আলোচনা সভা আয়োজন করেছিলো আজ ঝুনকা হাই মাদ্রাসাতে শিক্ষক,শিক্ষিকা ও মিড ডে মিল রান্নার মহিলাদের নিয়ে বসা হয়।আলোচনার বিষয় বস্তু কিভাবে বাল্য বিবাহ বন্ধ করা যায় । এর পরিপ্রেক্ষিতে মোহাঃ বেলাল উদ্দিন মন্ডল প্রস্তাব রাখেন যদি সকল ছাত্র ও ছাত্রীর অভিভাবক ও গ্রামের প্রধান মেম্বার ও শিক্ষিত মানুষদের নিয়ে বিরাট ভাবে আলোচনা সভা করা হয় তাহলে আরও ভালো হবে।তাতে বাল্য বিবাহ বন্ধ করা যেতে পারে । এই মত বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে স্কুল গুলির সহযোগিতা নিলে আলোচনা সভা করলে ,সকল মানুষ ধীরে ধীরে সজাগ হয়ে উঠতে পারে।