২০০৯ সা‌লের, রাজারহাট বৈদিক ভিলেজ কান্ড স্মৃ‌তি মু‌ছে খেলার টানে মাঠে উপস্থিত ফুটবল প্রেমী মানুষ


মঙ্গলবার,২৯/০৮/২০১৭
1655

সত্য‌জিৎ মন্ডল, রাজারহাট, উত্তর ২৪ পরগনা: সালটা ২০০৯। হাজার দশেক লোক মাঠের চারিদিকে। খেলা চলছে চরম পর্যায়ে। জয় পরাজয়ের খেলাতে সাধারণ মানুয় তখন উন্মাদ। হঠাত কিছু বুঝে উঠবার আগেই কয়েকটি বোমের আওয়াজ। মানুষ দিশাহারা হয়ে এদিকওদিক ছুটে পালাচ্ছে। বাঁচার তাগিদ। মাঠের উত্তর পশ্চিম দিক দিয়ে বোমাবাজি করতে করতে আসছে একদল দুষ্কৃতি। এখানেই খেলার যবনিকা। ফুটবল প্রেমী মানুষের হৃদয় ভঙ্গ। বিরতি প্রায় দশ বছরের।

 

তারপর আবার সেই একই মাঠে ফুটবল, মাঠের চারিদিক দিয়ে রব গোল গো……ল। ঘোষকের সুচারু ভঙ্গিমাপূর্ণ উপস্থাপন। সব মিলিয়ে ফিরে পেয়েছে ফুটবলের সোনালি দিনের অতীত কে। হ্যা যে ফুটবল খেলাকে নিয়ে এত ভণিতা, সেটি কলকাতার বিখ্যাত কোন খেলা কে নিয়ে বলছি না। বলছি রাজারহাট এলাকার গ্রামকেন্দ্রি, শহুরে টানে আচ্ছন্, একটি খেলার মাঠের খেলার বর্ণনা দিতে। কারণও অনেক। রাজারহাট এলাকার সপ্তগ্রাম নামে পরিচিত গ্রাম গুলির একটি শিখরপুর। এই গ্রামের খেলার মাঠটিই সব থেকে বড়। দীর্ঘদিন ধরে এখানে ফুটবল খেলা হয়ে আসছে। কলকাতার নামজাদা খেলোয়াড়ের পদধূলি ও পড়েছে। ফলস্বরুপ মাঠের খেলা নিয়ে যে আবেগ থাকবে তা বলার অপেক্ষা থাকে না। কিন্তু কোন এক অদৃষ্টের কারণ এ প্রায় দশ বছর খেলা বন্ধ? এলাকার মানুষ ভুলতে পারেনা সেদিনের কথা। প্রথম কোয়াটার এর শেষ খেলা। হঠাৎ উত্তর পশ্চিম দিক দিয়ে একদল হার্মাদ বোমা মারতে মারতে মাঠে ঢোকে। মানুষ দিশেহারা হয়ে এদিক ওদিক ছুটতে শুরু করে। প্রাণ বাঁচাতে এর ওর বাড়িতে কোন রকমে ঢুকে যাওয়া। নির্মম এই ঘটনায় একজনের প্রাণ চলে যায়। সাধারণ মানুষ পাগল হয়ে বৈদিক ভিলেজে আগুন ভাঙচুর করে। তারপর শুরু হয় প্রশাসন এর কাজ।অনেক রাত বাড়িতে থাকতে পারেনি পুরুষরা। অনেকের নামে এখনো কেস চলছে।

কিন্তু এসব কিছু ভুলে আবার সেই মাঠে সাধারণ মানুষ এসেছেন ফুটবল খেলা কে উপভোগ করার জন্য। শিখরপুর আদর্শ শক্তিসংঘ আবার ফুটবল খেলার ব্যবস্থা করতে পেরেছে। সহযোগিতায় এগিয়ে এসছে পুলিশ প্রশাসন থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ,ফুটবল প্রেমি থেকে সাধারণ মানুষ। তাই তো মাঠে উপস্থিত হতে দেখা যায় রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবির কর মহাশয়কে। এছাড়া জেলাপরিষদ সদস্যা জাহানারা বিবি, সহ সভাপতি বাসুদেব নস্কর, প্রধান আনরুজাম্মান প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। ক্রিড়া ব্যক্তিত্বের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রহিম নবি ভারতীয় ফুটবল দলের একসময়ের নিয়মিত সদস্য,ভারতীয় হকি দলের প্রাক্তন কোচ জাগরিত সিং, ভলিবল প্রশিক্ষক ভানু রায় প্রমুখ। খেলার টানে মাঠে উপস্থিত হয়েছিলো নবীন প্রবীণরা। আবার আওয়াজ উঠেছে ফুটবল……ফুটবল। গোল……গোল। কর্মকর্তারা পরবর্তি বছরে আবার ফুটবল খেলার ব্যবস্থা করবেন বলে জানান। এখন দেখার সব গ্লানি ভুলে আবার কি ফুটবল প্রেমীরা আসবেন মাঠে ফুটবলের টানে? সময় উত্তর দেবে।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট