কবি জয়দীপ সেনের প্রথম কবিতা সংকলন ” বাকি সব জোছনায় স্নিগ্ধ”


সোমবার,২১/০৮/২০১৭
1109

সত্য‌জিৎ মন্ডল---

বর্তমান সময়ে নবাগত কোন কবি বা লেখক তাদের সৃষ্ট কোন কবিতার বই বা অন্য যেকোনো লেখা প্রকাশ করতে আশ্রয় নেয় উপঢৌকন সহ আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশের।কারণ অনেক। এতত সত্ত্বেও বিকল্প থাকে, আছে, থাকবেও।কারন তাদের কাছে লেখনীয়টাই প্রাণ। এমনিই এক নবগত কবি, বলা ভালো কবি প্রেমীর প্রকাশ পাওয়া প্রথম কবিতা সংকলন হাতে এসেছে।ভালো লাগলো বই এর ভিতরে লেখা স্নেহের সত্যজিৎ লেখাটি দেখে। যাইহোক বইটি সম্পর্কে লিখতে বসে প্রথমে নজর গেলো শেষের আগের পাতাতে,সেখানে সম্পূর্ণ আলাদা ভাবে কবি পরিচিতি দেওয়া।যা আকর্ষণীয় বটে।লিখেছেন কবির পূজনীয়া দিদি চৈতালি মুখোপাধ্যায়। শুরুটা এমন ১৯৭৮ এ জন্ম বা ২০০২ এ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরাজি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর অথবা আগাগোড়া কলকাতা নিবাসী এক বাঙালী নাগরিক…… এই কথাগুলো জয়দীপ সেন সম্পর্কে নিছক তথ্যমাত্র,পরিচয় নয়। এখানেই নতুনত্ব।এটা পরিচয় নয় কিন্তু এটাই অনুমোদিত পরিচয়,যাকে প্রকাশ করতেই হবে।হয়েছেও বটে কিন্তু একটু ভিন্ন ভাবে।কারণ কবির পরিচয় এর থেকে অনেক সমৃদ্ধ, লেখিকার কাছে।

মূল বিষয়ে আসা যাক, কবি জয়দীপ সেনের প্রথম কবিতা সংকলন ” বাকি সব জোছনায় স্নিগ্ধ” প্রকাশ পেয়েছে লোকচক্ষুর আড়ালে।জানতো শুধু হাতে গোনা কয়েকজন। কেনো কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন ছাড়াই বই প্রকাশ পেলো? প্রশ্ন করেছিলো বন্ধু, সহকর্মী, এমনকি ছাত্র ছাত্রীরা।প্রশ্নটি কবি এড়িয়ে জান নিপুণ ভঙ্গিমায়। জানিয়ে রাখি ২০০২ – ২০০৩ সালে রাজারহাট ডিরোজিও মেমোরিয়াল কলেজে অধ্যাপক হিসাবে যুক্তহন। সেখানেও একটু ভিন্নতা ছিলো।কলেজের অধক্ষ না থাকায় সহকারী অমিতাভ দেব নিযুক্তি করনকার্য সমাপন করিয়েছিলেন। কবি কখনওই অধ্যাপক হতে চাইনি।সাংবাদিকতা ও গান ছিলো পছন্দের।কিন্তু কিবা করা যায় ভাগ্যের দোহায় দিয়ে অধ্যাপনা, গান এখন চলার সাথি।

অসাধারণ গানের গলা যে কাউকে মুগ্ধ করে। কবির “বাকি সব জোছনায় স্নিগ্ধ” কবিতা সংকলনে মোট ৩৭ টি কবিতা আছে। প্রথম কবিতা ,”মনে করো” চার লাইনের এই কবিতা দিয়ে শুরু। পাঠক ধাক্কা খেতে পারে এই ছোট কবিতার কথা ভেবে কিন্তু বিষয় যেভাবে প্রকাশ পেয়েছে ” আমার যেটুকু বাকি,নির্দ্বিধায় কুয়াশায় মুড়ে রেখে গেলে স্তব্ধতার ভিতরে” লাইনের সারমর্ম পাঠক কে ভাবাবে।কবিতা ” অপেক্ষা” শেষ কবিতা, মোট ২৯ লাইন।এখানে রবী ঠাকুরের প্রভাব পড়ছে বলে মনে হয়,যদিও কবি আপন ভঙ্গিমায় উপস্থাপন করেছে।বাকিটা পাঠকের উপর।কবি নিজেই বলেছেন ঢুকে পড়েছি কবিতার অরণ্যে।শব্দদিয়ে কিছু ছবি আকার চেষ্টা করেছি।নানান ভাবনা ও অনুভূতিরর মণ্ড পাকিয়েছি।মাচা বাধছি।আপনাদের ভালো লাগলে বুঝব এ অরণ্যে আমি অনাহূত নই।

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট