খবরইন্ডিয়াঅনলাইনঃ কাজের হিসেবে ক্রমশ পরিচিত হয়ে উঠছে স্মার্টফোন। জীবনের নানা কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে স্মার্টফোন। এবার শোনা যাচ্ছে, প্রেগন্যান্সি টেস্টও করা যাবে স্মার্টফোনের সাহায্যে।
জার্মানির হ্যানোভার ইউনিভার্সিটির হ্যানোভার সেন্টার ফর অপটিক্যাল টেকনোলজিসের গবেষকেরা সম্প্রতি স্মার্টফোনে ব্যবহার উপযোগী একটি ফাইবার অপটিক সেন্সর উদ্ভাবন করেছেন, যেটি ব্যবহার করা যাবে বিভিন্ন বায়ো-মলিকিউলার পরীক্ষার কাজে। সেন্সরটি নাম- সারফেস প্লাজমন রিজোনেন্স বা এসপিআর।
বডিলিকুইড (ব্লাড, ইউরিন, সোয়েট, স্যালাইভার) পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাবে স্মার্টফোনে ব্যবহৃত এই সেন্সরের মাধ্যমে। এমনকি নজর রাখা যাবে শ্বাস-প্রশ্বাসের ওপরেও। এই সব নজরদারি থেকে খুব স্পষ্টভাবে জানা যাবে শারীরিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত। পাওয়া যাবে সুস্থতা ও অসুস্থতার খবর। জানা যাবে প্রেগন্যান্সি ও ডায়াবেটিসের খবরও।
গবেষকদের দাবী, স্মার্টফোন হতে চলেছে lab-on-a-chip। অর্থাৎ ডিভাইসটি একদিকে যেমন ফোনের চিপ হিসেবে কাজ করবে, ঠিক তেমনই কাজ করবে একটি ল্যাবরেটরি হিসেবেও। যেখানে ফোনের কাজ সারার পাশাপাশি ছোটো-খাটো শারীরিক পরীক্ষাও করিয়ে নেওয়া যাবে এক নিমেষে।
স্মার্টফোনের চিপ হিসেবে দরকারি এই সেন্সরটি নিয়ে বিস্তারিত কাজ শুরু করেছেন গবেষকরা। ফলে খুব শিগগির স্মার্টফোনের সাহায্যেই প্রেগন্যান্সি, ডায়াবেটিসের পরীক্ষা সেরে নেওয়া যাবে বলে অভিমত গবেষকদের।