খবরইন্ডিয়াঅনলাইনঃ প্রাকৃতিক ভাবে দীর্ঘদিন ধরে আদা রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বমি ও মাথাঘোরা রোগের দারুণ কাজ করে এটা। বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্ষুধামন্দা দূর করতে তাৎক্ষণিক ফল দেয়। ২০ বছর আগে বিজ্ঞানীরা আদাকে ক্যানসার
প্রতিরোধী ও ক্ষতিকর জীবাণুরোধী (অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট) বস্তু বলেছিলেন। এবার আদার গুণাগুণ নিয়ে আরো আশ্চর্যজনক তথ্য হাজির করলেন বিজ্ঞানীরা। তা হচ্ছে- আদা ক্যানসার কোষে ব্যাপক কাজ করে এবং কোষে ক্যানসারের উপাদান ধ্বংস করে দেয়। তাই আগামীতে ক্যানসার চিকিৎসায় কেমোথেরাপির পরিবর্তে আদা ব্যবহার হতে পারে বলে ভবিষ্যৎবাণী করেছেন বিজ্ঞানীরা।
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্প্রিহেনসিভ ক্যানসার সেন্টারের একদল বিশেষজ্ঞ গবেষণায় দেখিয়েছেন, ক্যানসার কোষে আদা কার্যকরী। এটা ক্যানসার কোষের বিস্তাররোধের সক্ষমতা হার চমৎকার।
তবে আদায় পাওয়া কার্যকরী উপাদানের পুরোটাই এখনো নিশ্চিত নয়। কিন্তু মনে করা হয়, আদায় উপকারী উপাদান পারাডলস, জিঞ্জাররোলস ও শোগোলস পুরোমাত্রায় রয়েছে। আদার গোড়ায় খুব অল্প পরিমাণ ফাইথোক্যামিকেলস নামের একটি পদার্থ থাকে। মেডিকেল বিশেষজ্ঞদের মতে, ফাইথোক্যামিকেলস বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার মহা ওষুধ।
প্রোস্টেট ক্যানসার : গবেষণাগারে ইঁদুরের ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় আদা ক্যানসার কোষ বৃদ্ধিরোধে কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়েছে। ১০০ মিলি আদা ইঁদুরের শরীরের দেওয়া হয় এবং এটাতে বেশ ভালো ফল পাওয়া যায়। বিজ্ঞানীরা খুঁজে পান, আদা প্রয়োগের মাধ্যমে ৫৬ শতাংশ ইঁদুরের প্রোস্টেট ক্যানসার বৃদ্ধির রোধ ও ধীর ধীরে কমাতে সাহায্য করেছে।
ব্রেস্ট ক্যানসার : অন্য একটি গবেষণা দেখা গেছে- ব্রেস্ট ক্যানসারের জন্যও আদা বেশ কার্যকরী। ব্রেস্ট ক্যানসারের কোষ ধ্বংস করে আদা। শুধু ব্রেস্ট ক্যনসারই নয়, যেসব অনু টিউমারের জন্য দায়ী সেগুলোও ধ্বংস করে। এর জন্য আরো গবেষণা করা দরকার বলে বিজ্ঞানীরা মনে করেন। তবে ব্রেস্ট ক্যানসারের জন্য আদার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।
ডিম্বাশয় ক্যানসার : আদা ডিম্বাশয় ক্যানসারের জন্য বেশ উপকারী বলে অন্য আরেকটি গবেষণায় খুঁজে পাওয়া গেছে। ফাইথোক্যামিকেলস দেহের বিভিন্ন অঙ্গ বৃদ্ধি ও উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণে ও স্বাভাবিক রাখতে কাজ করে।