বিকাশ সাহাঃ উন্নততর প্রযুক্তির যুগে কালিয়াগঞ্জের বেশ কিছু কৃষকের একমাত্র ভরসা হালের বলদ। যদিও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির দাপটে সময় সাশ্রয়কারী জমি চাষের প্রধান হাতিয়ার উন্নতমানের ট্রাক্টর। যা নিমিষের মধ্যেই কয়েকবিঘা জমি চাষ করতে সক্ষম। কিন্তু কালিয়াগঞ্জের বেশকিছু কৃষক উন্নতমানের প্রযুক্তির ট্রাক্টর ব্যবহার না করে বলদের সাহায্যে জমি চাষ করছেন। এমনই এক কৃষকের দেখা মিলল কালিয়াগঞ্জের ২ নম্বর ধনকৈল গ্রাম পঞ্চায়েতের গনেশবাটি গ্রামে । ৫৫ বছর বয়সী আখারু বর্মণ নিজের খেয়ালে জমি চাষ করে চলেছেন। চার মেয়ের বিয়ের পর স্বামীস্ত্রীর সংসারে নিজের খেয়াল খুশিমত কৃষিকাজে ব্যস্ত থাকেন তিনি। ৭ বিঘা জমির মালিক আখারু বাবু বলেন, ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষ করলে মাটির মধ্যে যতটা হাওয়া বাতাস খেলে তার চেয়ে হাওয়া বাতাস বেশি খেলে বলদ দিয়ে হাল চাষ করলে। ফলে ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করার থেকে বলদ দিয়ে হাল চাষ করলে বিঘাপ্রতি ফলনও বেশি পাওয়া যায়। ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করতে গেলে ঘণ্টা হিসেবে গাঁটের কড়ি খরচ করতে হয়। কিন্তু বলদ দিয়ে চাষ করালে কোণও টাকার প্রয়োজন হয় না। খাবার হিসেবে জমির ঘাস, বাড়িতে মজুত খর খেয়ে জীবন ধারণের পাশাপাশি বলদ ও গরু উলটে গোবর দেয়, যা সার হিসেবে ও জ্বালানীর কাজে লাগাতে পাড়ি আমরা। সেই সঙ্গে হালের বলদ বাড়িতে থাকলে নিজ ইচ্ছেমত দিনের মধ্যে যখন খুশি জমি চাষ করতে পাড়া যায়। বলদ দিয়ে জমি চাষ করলে আমাদের নিজের স্বাধীনতা থাকে। ট্রাক্টরের ক্ষেত্রে তা হয় না।
উন্নততর প্রযুক্তির দাপটে বলদে টানা হালের অমিল হলেও আজও গ্রাম বাংলার কৃষক বলদ দিয়ে জমি চাষ করার মধ্যে খুঁজে পান চাষ করার আনন্দ।
উন্নততর প্রযুক্তির যুগেও বলদ দিয়ে জমি চাষ করার মধ্যে খুঁজে পান চাষ করার আনন্দ
মঙ্গলবার,১৫/১২/২০১৫
779