বিকাশ সাহাঃ এদিন রবিবার রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিদ্যাচক্র স্কুলের মাঠে কর্মী সভায় এসে কংগ্রেসকে সিপিএমের বি টিম বলে আখ্যা দিলেন সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী।
এদিনের কর্মী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ২০১১ সালের বিধানসভা ভোটে আমরা জোট ধর্ম মেনে উত্তর দিনাজপুর, মালদা, মুর্শিদাবাদে আমরা কংগ্রেসকে বেশি আসন ছেড়ে নির্বাচনে লড়াই করেছিলাম। কিন্তু আমরা দেখেছি, যে আজকে এই এলাকার, এই জেলার কংগ্রেসের নেতারা বিশেষ করে দীপা দাসমুন্সী, অধীর চৌধুরীরা, যারা সিপিএমের সঙ্গে মিশতে সচ্ছন্দ বোধ করেন, যারা বামফ্রন্টের সঙ্গে বসতে সচ্ছন্দ বোধ করেন। যেমন রায়গঞ্জের মোহিত সেনগুপ্ত , অশোক ভট্টাচার্য শিলিগুড়ি থেকে এসে, তার সঙ্গে কোলাকুলি করেন। এরা হল সিপিএমের বি টিম। একটা সময় তরমুজ বলা হত। টিক এরা সেই প্রজাতির মধ্যে পড়ে। এরা সেদিন জোটের বিরোধিতা করে তৃণমূলের প্রার্থীদের হারানোর জন্য উত্তর দিনাজপুর থেকে মুর্শিদাবাদ পর্যন্ত তৃণমূলের আসন গুলিতে গোঁজ দাঁর করিয়ে ছিল। ২০১৪ সাল লোকসভা ভোট, একদিকে একজন ধর্মান্ধ নরেন্দ্র মোদী, তাঁর বাহিনী, গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে আওয়াজ তুললো “আচ্ছে দিন শুরু হনে ওয়ালা হে”। ভাল দিন ফিরে আসবে। তিনি বলেছিলেন, সুজারল্যান্ড থেকে কাল ধন ফেরত আসবে। আর প্রত্যেকের আকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা জমা হয়ে যাবে ১০০ দিনে মধ্যে। ২০ কোটি বেকার চাকরী পেয়ে যাবে। আর কি বলত তাঁরা, জিনিসপত্রের দাম একেবারে কমে যাবে আর দুর্নীতিমুক্ত ভারতবর্ষ তৈরি হবে। কিন্তু বাংলায় একা লড়ে আমরা ১৯ এর বদলে ৪২ এর মধ্যে ৩৪ টা আসনে জিতলাম। এবং ভারতবর্ষে সংখ্যার বিচারে আমরা চতুর্থ রাজনৈতিক দল হলাম। আজকে তিন তিনবার পঞ্চায়েতের ভোটের তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হল। তথকালিন নির্বাচন কমিশনার এখন তৃণমূলের বিরুদ্ধে কুৎসা প্রচারক মিরা পাণ্ডে মহোদয়া, তিনি সিপিএম, কংগ্রেস আর বিজেপি সহ কিছু ইলেক্ট্রনিক্স চ্যানেল আর দুটি একটি প্রিন্ট মিডিয়াকে নিয়ে পঞ্চায়েত ভোটে আমাদের বিরুদ্ধে নামলেন। সেই সময় রমজান মাসে ভোট চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তথকালিন বিজেপি, কংগ্রেস, সিপিএম এবং নির্বাচন কমিশনার বলল পশ্চিমবঙ্গের পুলিশকে দিয়ে ভোট হবে না। তাঁরা সুপ্রিম কোটে গেল। বলল সেন্ট্রাল পুলিশ চাই। তাই হল কিন্তু কি দেখলেন আপনারা? দেখলেন ১৩ টা জেলা পরিষদে প্রথমেই জিতে গেলাম আমরা। আশি ভাগের বেশি পঞ্চায়েত কমিটি, গ্রাম পঞ্চায়েত জিতলাম তৃনমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আমরা। আপনারা দেখলেন মানুষ মমতা ব্যানার্জীর সঙ্গে আছেন।
সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী ছাড়াও এদিনের কর্মী সভায় উপস্থিত ছিলেন, গ্রন্থাগার মন্ত্রী আব্দুল করিম চৌধুরী, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিষদীয় সচিব তথা উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি অমল আচার্য, চোপরার বিধায়ক হামিদুর রহমান, পূর্ণেন্দু দে, আইএনটিটিউসির জেলা সভাপতি অরিন্দম সরকার সহ প্রমুখ।
রায়গঞ্জে এসে কংগ্রেসকে সিপিএমের “বি” টিম বলে আখ্যা দিলেন সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী
রবিবার,২২/১১/২০১৫
677