কুশমণ্ডির বাসিন্দা খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল কালিয়াগঞ্জে


শনিবার,২১/১১/২০১৫
668

বিকাশ সাহাঃ    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমণ্ডির বাসিন্দা খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জে। পুলিশ সুত্রে জানাযায়, শুক্রবার রাতে কুশমণ্ডির বাসিন্দা বিপুল সরকার ও ভদং সরকার এক সঙ্গে সাইকেল নিয়ে কালিয়াগঞ্জের উদ্দেশ্যে আসে। কালিয়াগঞ্জের ৯ নম্বর বরুনা গ্রাম পঞ্চায়েতের পাশের রাস্তায় হটাত করে বিপুল সরকারের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় ভদং। বিপুলের গায়ে একাধিকবার ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে ভদং। বিপুলের আর্তনাদ শুনে স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। রক্তাক্ত অবস্থায় বিপুলকে রাস্তার ধারে ফেলে সাইকেল নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে ভদং। স্থানীয় বাসিন্দারা দৌড়ে গিয়ে ভদংকে ধরে ফেলে। শুরু হয় গণপিটুনি। গুরুতর আহত বিপুলকে প্রথমে কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, পড়ে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসা চলাকালীন মারা যায় বিপুল। স্থানীয় বাসিন্দাদের গণপিটুনিতে আহত ভদংকে পুলিশ উদ্ধার করে কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ভদং-এর। মৃত বিপুল সরকারের(১৯) বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমণ্ডি থানার অন্তর্গত পোড়াডাঙ্গা এলাকায়। খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ভদং-এর বাড়ি কুশমণ্ডি থানার দেউল গ্রামে। মৃত বিপুল সরকারের পড়িবার সুত্রে জানাযায়, ব্যাঙ্কে টাকা জমা দেওয়ার উদ্দেশ্যে শুক্রবার দুপুরের দিকে সাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছিল বিপুল।
কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশের প্রাথমিক অনুমান আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত ঘটনা এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। বিপুল দুপুরে বাড়ি থেকে বের হয়ে কোথায় ও কিভাবে ভদং-এর সঙ্গে যোগাযোগ হল? একে অপরের সঙ্গে কি সম্পর্ক ছিল তাদের? তারা কুশমণ্ডি থেকে এতটা পথ সাইকেল নিয়ে এসে গণ্ডগোলে জড়িয়ে পড়ল কেন? ভদং কি বিপুলকে মারার পরিকল্পনা করে ধারালো অস্ত্র সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিল? এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। DSCN8170

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট