বিকাশ সাহাঃ উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ ও কালিয়াগঞ্জের মৃৎশিল্পীরা পূজোর দিন গুলিতে মাটির সরার উপর পটচিত্র আঁকেন বাড়তি লাভের আশায়। কিন্তু লক্ষ্মী পূজোর বাজারে এসে লক্ষ্মী পটের সরা তেমন বিক্রি না হওয়ায় হতাশার মধ্যে রয়েছেন তাঁরা। গৃহস্ত পরিবারের শ্রী বৃদ্ধির জন্য দুর্গা পূজার দিন গুলিতে বাড়িতে বসে মাটির সরার উপর রং লাগিয়ে লক্ষ্মী নারায়ণের পটচিত্র আঁকেন বাড়ির মহিলারা। রায়গঞ্জের বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতের সুভাষগঞ্জ গ্রামের প্রায় ২৮ টি পরিবার প্রতিবারের ন্যায় এবারও বড়ো মাপের প্রতিমার পাশাপাশি বাড়তি লাভের আশায় পটচিত্র এঁকেছেন। এদিকে কালিয়াগঞ্জের দক্ষিণ আখানগরের পাল পাড়ার প্রায় ১৫ টি পরিবার এই কাজে হাত লাগিয়েছেন। এদিন সোমবার বাজারে গেলে দেখা যায় হতাশ হয়ে বসে আছেন মৃৎ শিল্পীরা।
মৃৎ শিল্পী উজ্জ্বল পাল, মৃদুল পাল জানান, বাড়ির মহিলারা সাধারণত নরম মাটি ছাঁচে ফেলে লক্ষ্মী নারায়ণের সরা তৈরি করেন। সেই সরা রোদে শুকিয়ে তাঁর উপর রং দিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরে কঠোর পরিশ্রম করে লক্ষ্মী নারায়ণের পটচিত্র এঁকেছেন বাড়ির মহিলারা। প্রতিটি লক্ষ্মী নারায়ণের পটচিত্রের সরা তৈরি করতে খরচ হয় প্রায় ২০ টাকা। বাজারে এসে খদ্দেরের কাছে ৪০ টাকা দাম চাইলে তাঁরা মুখ ঘুরিয়ে চলে যাচ্ছেন। বংশ পরম্পরায় আমরা সরার উপর লক্ষ্মী নারায়ণের পটচিত্র আঁকলেও আজ আর তেমন বিক্রি হয়না এই পটচিত্র আঁকা সরা। রায়গঞ্জের মৃৎ শিল্পীরা জানান, এক সময় রায়গঞ্জ সহ আশেপাশের ব্লক ও বিহার থেকেও প্রচুর লোক আসত পটচিত্র কিনতে। আজ পটচিত্রের সরার পরিবর্তে ভক্ত প্রাণ মানুষ সাঁচের ও কাঠামোর ছোট বড়ো লক্ষ্মী প্রতিমা কিনছেন। ফলে হারিয়ে যাচ্ছে পট শিল্পের এর কদর।
উত্তর দিনাজপুর জেলায় লক্ষ্মী পটের সরা তেমন বিক্রি না হওয়ায় হতাশায় দিন কাটাছেন মৃৎশিল্পীরা
রবিবার,২৫/১০/২০১৫
766