পরিতোষ বর্মণঃ ডাইনি অপবাদে হাত পা বেঁধে এক আদিবাসী মহিলাকে পিটিয়ে মারা অভিযোগ উঠলো গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। মৃত আদিবাসী মহিলার নাম মায়া হেমব্রম (৬০)। কুমারগঞ্জ থানার চাঁদগঞ্জ এলাকার তারা গ্রামের ঘটনা। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ দিন থেকে শারীরিক ভাবে অসুস্থ থাকার পর মঙ্গলবার সকালে তারা গ্রামের বিটিয়া মারডি নামে এক বাসিন্দার মৃত্যু হয় । বিটিয়ার মৃত্যু সংবাদ পেয়ে তার আত্মীয় স্বজনরা গ্রামে আসে। আদিবাসী প্রথা অনুযায়ী পাড়ার লোকজনকে ডাকা হয় অন্ত্যেষ্টির জন্য। তখনই বাড়ি থেকে মায়া হেমব্রমকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্ত্যেষ্টির ডাক পেয়ে প্রতিবেশির বাড়ি যেতেই বিপত্তি শুরু হয়। মৃতার বাড়ির লোকজন দাবী করতে থাকেন বিটিয়ার দীর্ঘ দিন অসুস্থ থাকার কারন মায়া হেমব্রম। সেই ঝাড়ফোক করে অসুস্থ করে রেখেছিল বিটিয়াকে। মৃতার পরিবার থেকে গ্রামবাসীরা বিটিয়াকে একটি ঘরে ঢুকিয়ে বেধরক মারধোর করে বলে অভিযোগ। হাত পা বেঁধে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে মারা হয় ঘর বন্ধ করে। মায়া হেমব্রমের আর্ত চিৎকারেও কেঊ সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি। সবার চোখের সামনে বন্ধ ঘরে আটকে পিটিয়ে মেরে ফেলে বিটিয়া মারডির আত্মীয়রা।
অন্য দিকে মায়া হেমব্রমের ছেলেরা কেঊ বাড়িতে ছিলেন না। কাজের জন্য পাশের গ্রামে গিয়ে ছিলেন। মাকে বেঁধে মারার খবর শুনে ছুটে আসে। ততক্ষণে মায়া হেমব্রম মৃত্যু হয়। স্থানীয় এলাকাবাসিরা কুমারগঞ্জ থানায় খবর দেয়। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়। কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃত ওই ব্যক্তির নাম মনিরাম সরেন।