পরিতোষ বর্মণঃ দুই-চার-পাঁচটি নয় এবার একসঙ্গে ১১কুইন্টাল কচ্ছপ আটক করল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী থানার পুলিশ ও কুশমন্ডি রেঞ্জের বনদফতর আধিকারিকরা। শুক্রবার রাতে যৌথ অভিযান চালিয়ে বুনিয়াদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে এই বিপুল পরিমান কচ্ছপ উদ্ধার করে পুলিশ ও বনদপ্তর কর্মীরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি পিক আপ ভ্যান করে উত্তরপ্রদেশ থেকে জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করতে নিয়ে আসা হচ্ছিল এই কচ্ছপগুলি। ১১ কুইন্টাল কচ্ছপ উদ্ধারের পাশাপাশি গাড়ির চালক সহ মোট ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে তিন জন মহিলাও রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের বাড়ি উত্তর প্রদেশের আমেথি জেলার গান্ধি নগর এলাকায়। উদ্ধার হওয়া কচ্ছপ গুলির বাজার মূল্য প্রায় ৪ লক্ষ টাকা বলে বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
প্রতি বছর শীতের মরসুমে গোপনে কচ্ছপের মাংস বিক্রি হয় জেলার প্রায় সর্বত্রই। মাঝে মধ্যে বনদপ্তরের কর্মীরা হানা দিয়ে কচ্ছপ উদ্ধার করলেও একসঙ্গে এত বিপুল পরিমাণ কচ্ছপ উদ্ধার হল এই প্রথম। জেলায় কচ্ছপ কেনাবেচার দায়ে বেশ কয়েকজন মহাজনের বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বহুবার শোনা গিয়েছে বনদপ্তরের আধিকারিকদের মুখে। কিন্তু সেই পদক্ষেপ বা কচ্ছপ কারবারিদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে জেলা বনদপ্তর তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ মিলল শুক্রবার রাতে প্রায় ১১ কুইন্টাল কচ্ছপ উদ্ধার হওয়ায়। বনদপ্তরের নিস্ক্রিয়তাই হোক বা অন্য কোনও কারনেই হোক, কচ্ছপকারবারিরা যে আগের তুলনায় আরও বেশি সক্রিয় হয়ে উঠেছে এবিষয়ে আর কোনও সন্দেহ নেই জেলার পরিবেশ প্রেমীদের মধ্যে। এদিন কচ্ছপ পাচারের দায়ে তিন মহিলা সহ ধৃত ৬জনকে শনিবার গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
অন্য দিকে উদ্ধার হওয়া কচ্ছপ গুলি শুক্রবার রাতেই বালুরঘাট বনদপ্তরে নিয়ে আসা হয়। কুশমন্ডি রেঞ্জের আধিকারিক সুনীল কুমার ঘোষ জানান, কচ্ছপ গুলি উত্তর প্রদেশ থেকে গঙ্গারামপুরে নিয়ে আসা হচ্ছিল। উদ্ধার হওয়া সমস্ত কচ্ছপ রায়গঞ্জের কুলিক ফরেস্টে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
দক্ষিণ দিনাজপুরে প্রচুর কচ্ছপ উদ্ধার
শনিবার,০৩/১০/২০১৫
604