মোল্লা জসিমউদ্দিন, মঙ্গলকোটঃ সম্প্রতি রাজ্য সরকারের যে ১৫০ জন বিডিও’র বদলীর নির্দেশিকা জারি হয়েছে, তাঁদের মধ্যে মঙ্গলকোটের বিডিও সুশান্ত মণ্ডল অন্যতম। তিনি সরকারী বদলীর আদেশনামা পেয়েছেন। তবে কোথায় তাঁকে পাঠানো হচ্ছে তা এখনও ঠিক হয়নি। মুর্শিদাবাদ থেকে সায়ন দাশগুপ্ত আসছেন মঙ্গলকোটে বিডিও হিসাবে। আগামী ৩১ অগাষ্ট অথবা ১ লা সেপ্টেম্বর মঙ্গলকোটের বিডিও হিসাবে দায়িত্ব নিতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। ২০১২ সালের মাঝামাঝি উত্তরবঙ্গের ফালাকাটা ব্লক থেকে সুশান্ত বাবু মঙ্গলকোটের দায়িত্বে আসেন। প্রায় তিন বছরের কিছু বেশি সময়ে তাঁর কাযলয় ছিল মঙ্গলকোট। এলাকায় সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। কিছু বিষয়ে বিতর্ক এসেছে ঠিকই তবে সাধারণ মানুষের সাথে তাঁর যোগাযোগ প্রশংসনীয়, বিশেষত মঙ্গলকোটে যে ভাবে হিংসা – হানাহানি, রাজনৈতিক সংঘর্ষ, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সর্বোপরি বামেদের ধখলে থাকা বিধানসভা আসন প্রভৃতি জটিলতার মাঝেও বাজার বনকাপাসীতে শোলা হাব, খুদরুণে আইটিআই কলেজ বা ডিগ্রি কলেজ, দুটি বৃহৎ পানীয় জলের প্রকল্প, এফসিআই গোডাউন, কৃষাণমাণ্ডি, মনসা মহল মন্দির ও যোগাদ্যা মন্দির সংস্কার প্রভৃতি প্রকল্পগুলি বাস্তবায়ন ঘটেছে। সম্প্রতি বর্ধমানে জেলা প্রশাসনের কর্মদক্ষতা বিচারে সাতটি বিভাগে মঙ্গলকোট ব্লক প্রথম স্থান পেয়েছে। বিডিও সাহেব প্রতিদিন ভোরে সাইকেল চেপে একাকী প্রত্যন্ত এলাকাগুলি ঘুরে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে সবার অভাব – অভিযোগ মন দিয়ে শুনতেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণে সক্রিয়তা মিলত। এরই মাঝে বিরোধীদের অভিযোগ ছিল ব্লকে টেন্ডারে সিন্ডিকেট রাজ চলত, বাম বিধায়ককে এড়িয়ে উন্নয়ন প্রকল্পে দলবাজি হত। কয়েকমাস পূর্বে একশো দিনের প্রকল্পে দুর্নীতির জন্য গোতিষ্টা পঞ্চায়েতে ঘেরাও অভিযান তুলতে গিয়ে গ্রামবাসীদের একাংশের হাতে প্রহৃত হন বিডিও, তা সত্ত্বেও মঙ্গলকোটের সামগ্রিক উন্নয়নে সুশান্ত বাবুর অবদান সকল গ্রামবাসীর মনে থাকবে চিরকাল ওনার কাজের জন্য।
বদলী হলেন মঙ্গলকোট -এর বিডিও
সোমবার,২৪/০৮/২০১৫
711