অজানা কারণে বদ্রু ব্যানার্জি পদ্মশ্রী সন্মানে বঞ্চিত


বুধবার,০৪/০২/২০১৫
900

পূর্ণেন্দু চক্রবর্তীঃ অলিম্পিয়ান বদ্রু ব্যানার্জির কাছে প্রজাতন্ত্র দিবসের চার – পাঁচদিন আগে স্বরাষ্ট্র দফতর থেকে একটি ফোন আসে, সেই ফোনের বার্তায় পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত করার পরিকল্পনা একেবারে শেষ পযায়ে। সেই সময় বাড়ির ঠিকানা ও অন্যান্য তথ্য সুনিশ্চিত করার জন্য কিছু প্রশ্নও করেন। স্বাভাবিকভাবে এই ফোনের বার্তা বদ্রু ব্যানার্জিকে উৎফুল্ল করেছিল তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তিনি আশা করেছিলেন গোষ্ঠ পাল, শৈলেন মান্না, চুনি গোস্বামী, প্রদীপ ব্যানার্জি ও বাইচুং ভুটিয়ার পরে হয়তো তিনি পদ্মশ্রী সম্মান পাচ্ছেন। আজ শুক্রবার বদ্রু ব্যানার্জি ৮৬ বছর বয়সে পা দেবেন, তাই ওই দিনটিকে অন্যভাবে অতিবাহিত করবার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। কিন্তু কোন অজানা কারণে শেষ মুহূর্তের বদ্রু ব্যানার্জির নামটা বাতিল হয়ে গেল পদ্মশ্রী সম্মান থেকে। এই খবর শোনার পর তিনি দারুনভাবে ভেঙে পড়েছেন। সারাভারত ফুটবল সংস্থার কাছে আগেই মোহনবাগান ক্লাব সহ অন্যান্য শুভাকাঙ্খী ফুটবল প্রেমিকদের কাজ থেকে অনুরোধ গিয়েছিল এবারে পদ্মশ্রী সন্মানে বদ্রু ব্যানার্জিকে মনোনীত করা হোক। এমনকী আইএফএ- ও এ ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছিল। মোহনবাগান ক্লাবের পক্ষ থেকে বদ্রু ব্যানার্জিকে শুধু মোহন রত্ন হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি, বলা হয়েছে অলিম্পিকের ইতিহাসে ভারতীয় ফুটবলের উজ্জ্বল অধ্যায়ে তিনি অন্যতম একজন তারকা । ভারতীয় দলকে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। পাশাপাশি শতাব্দির সেরা ক্লাবের অর্থাৎ মোহনবাগান ক্লাবের ফুটবল নক্ষত্র হিসেবে চিহুত করা হয়েছে। শোনা গেছে সারাভারত ফুটবল সংস্থার পক্ষ থেকেও অনুমোদন করা হয়েছিল । কেন্দ্রীয় সরকারের ভারপ্রাপ্ত ক্রীড়াদফতর থেকেও, এ ব্যাপারে খবরাখবর নেওয়া হয়েছিল বর্তমান কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। এত ঘটনার পরও কেন পদ্মশ্রী সন্মানে বদ্রু ব্যানার্জির নামটা বাতিল হল, তা নিয়ে রহস্য থেকে গেছে। কলকাতা ভেটারেন্স স্পোর্টস ক্লাবের সভাপতি বদ্রু ব্যানার্জি বলেন, এইভাবে একজন ফুটবলারকে বঞ্চিত করার অর্থ ক্রীড়াজগতে অন্য প্রতিক্রীয়ার সৃষ্টি হয়। জন্মদিনের শুভ মুহূর্তে বদ্রু ব্যানার্জি বলেন, আমার রক্তে রয়েছে বাংলার ফুটবলের স্বর্ণাক্ষরের অধ্যায়গুলি। কোনও দিনই ভুলতে পারব না সেইসব দিনগুলির কথা। যতদিন বাঁচব, ততদিন বাংলার ফুটবলের গৌরবে গৌরবান্বিত হব। বাংলার ফুটবল ভারতীয় ফুটবলকে অতীতে যেভাবে গর্বের জায়গায় পৌঁচেছে, ঠিক সেইভাবে আগামী দিনেও আরও গর্বের জায়গায় বাংলার ফুটবল পৌঁছে যাবে, এটাই আমার প্রাথনা। সৌজন্যঃ দৈনিক স্টেটম্যান

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট