বেপরোয়া গতির বলি, দায় কার?


বুধবার,০৯/০৪/২০২৫
44


প্রতিদিনের ব্যস্ত জীবনে শহরজুড়ে যে শব্দটা প্রায়ই আমাদের কানে বাজে, তা হলো “দুর্ঘটনা”। চারপাশে যখনই কোনো পথ দুর্ঘটনার খবর আসে, তখন আমাদের মুখে উঠে আসে একই প্রশ্ন— “বেপরোয়া গতির বলি, দায় কার?”

দুর্ঘটনা বাড়ছে, কিন্তু কেন?

রাজধানী হোক বা মফস্বল শহর, রাস্তায় বেরোলেই চোখে পড়ে গতির প্রতিযোগিতা। ট্রাফিক নিয়ম অমান্য করে একের পর এক গাড়ি দৌড়ে চলে যেন একটা রেস চলছে। হেলমেট ছাড়া বাইক চালানো, মোবাইলে কথা বলতে বলতে ড্রাইভ, সিগন্যাল ভাঙা—এসব এখন যেন ‘নতুন নর্মাল’।

ফলতঃ, অল্পবয়সী তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে স্কুলপড়ুয়া বাচ্চা কিংবা বৃদ্ধ—কেউই রক্ষা পাচ্ছে না দুর্ঘটনার ছোবল থেকে।

দায় চাপানো চলে, কিন্তু সমাধান?

এখানে আসে মূল প্রশ্নটা—দায় কার?

  • প্রশাসনের?
  • পথচারীর?
  • না কি চালকের?

সত্যি বলতে, দায় একক কারোর নয়।
📍 পুলিশের নজরদারি অনেক সময়েই শিথিল থাকে।
📍 বহু রাস্তার অবস্থা বেহাল, নেই সঠিক ট্রাফিক সাইন।
📍 আবার অনেক চালকই মনে করেন, নিয়ম তাঁদের জন্য নয়।

এই চক্রবূহ্য থেকে বেরিয়ে আসতে হলে প্রয়োজন সমষ্টিগত দায়বদ্ধতা।

সমাধান কোথায়?

  1. সচেতনতা বাড়াতে হবে পরিবার থেকেই।
    শিশুদের ছোটবেলা থেকেই নিয়ম মানার শিক্ষা দিতে হবে।
  2. চালকদের লাইসেন্স দেওয়ার আগে আরও কঠিন স্ক্রিনিং দরকার।
  3. সার্ভিল্যান্স বাড়ানো দরকার ট্রাফিক হটস্পট গুলিতে।
    সিসিটিভি ক্যামেরা, স্পিড সেন্সর ব্যবহার হোক নিয়মিত।
  4. স্কুল-কলেজে সচেতনতা কর্মসূচি চালানো হোক।
  5. সবচেয়ে বড় কথা—আমরা নাগরিকদের মানসিকতা বদলাতে হবে।
    ‘আমি নিয়ম মানলে কিছুই হবে না’—এই ভাবনা বদলাতে হবে।

রাস্তায় বেরোনো মানেই এখন আতঙ্ক। অথচ, এটাই তো হওয়া উচিত ছিল নিরাপত্তার প্রতিচ্ছবি।
আজ যদি আমরা সবাই এক কদম এগিয়ে আসি, তাহলে আগামীকাল হয়তো কোনো প্রাণ এভাবে রাস্তায় পড়ে থাকবে না।

বেপরোয়া গতির বলি আর কেউ না হোক—এই আমাদের অঙ্গীকার হোক।


Affiliate Link Earn Money from IndiaMART Affiliate

চাক‌রির খবর

ভ্রমণ

হেঁসেল

    জানা অজানা

    সাহিত্য / কবিতা

    সম্পাদকীয়


    ফেসবুক আপডেট