২০১৬ সালে চালু হওয়া ইউনিফাইড পেমেন্টস ইন্টারফেস (UPI) ভারতীয় আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। ওপেন ব্যাংকিং এবং ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে সুলভ ঋণের তাৎপর্য শীর্ষক এক সাম্প্রতিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে প্রায় ৩০ কোটি জনসাধারণ এবং পাঁচ কোটি ব্যবসায়ী এখন নির্বিঘ্নে UPI ব্যবহার করে লেনদেন পরিচালনা করছেন।
ডিজিটাল লেনদেনের অভূতপূর্ব প্রসার
সমীক্ষা অনুসারে, ভারতে সমস্ত ডিজিটাল খুচরা পেমেন্টের ৭৫ শতাংশ গত বছরের অক্টোবর মাসে UPI-এর মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছিল। এটি শুধু শহরের নয়, গ্রামাঞ্চলের মানুষের জন্যও সহজ ও সুলভ ডিজিটাল লেনদেনের সুযোগ করে দিয়েছে। এই প্রযুক্তি সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন লেনদেনের অভ্যাস বদলে দিয়েছে এবং অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিকে আরও প্রসারিত করেছে।
সুলভ ঋণের অ্যাক্সেস
কম সুবিধাভোগী গোষ্ঠীর জন্য UPI নতুন সুযোগ সৃষ্টি করেছে। সমীক্ষা দেখিয়েছে, অনেক ঋণগ্রহীতা যারা প্রথমবার ঋণ গ্রহণ করছেন, তারা UPI ব্যবস্থার মাধ্যমে সহজে ঋণ পেয়েছেন। এর ফলে, যারা আগে ব্যাংকিং ব্যবস্থার বাইরে ছিলেন তারাও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মূলধারায় সংযুক্ত হয়েছেন।
ঋণ গ্রহণে দায়িত্বশীলতা
UPI-এর মাধ্যমে সংগৃহীত ডিজিটাল লেনদেনের তথ্য ঋণদাতাদের আরও সচেতন করে তুলেছে। সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঋণ গ্রহণ বাড়লেও ঋণ খেলাপির হার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়েনি। এটি প্রমাণ করে যে, UPI-এর ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থা ঋণগ্রহীতাদের দায়িত্বশীলভাবে ঋণ ব্যবহারে সাহায্য করেছে।
প্রযুক্তির শক্তি: শহর থেকে গ্রামে
ডিজিটাল প্রযুক্তির সামর্থ্য শহর এবং গ্রাম উভয় ক্ষেত্রেই UPI-কে জনপ্রিয় করে তুলেছে। স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট সুবিধা সহজলভ্য হওয়ায়, এখন দেশের প্রত্যন্ত এলাকাতেও মানুষ UPI-এর সুবিধা গ্রহণ করছেন। ফলে, ডিজিটাল অর্থনীতির ক্ষেত্রেও ভারত আরও এগিয়ে যাচ্ছে।
উপসংহার
ভারতে UPI শুধু একটি লেনদেন পদ্ধতিই নয়, এটি অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি এবং ডিজিটাল যুগে প্রবেশের একটি প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে। সহজ ব্যবহার, নিরাপত্তা এবং নির্ভরযোগ্যতার কারণে UPI ভবিষ্যতে আরও বড় ভূমিকা পালন করবে।