ডিম উৎপাদনে শীঘ্রই স্বনির্ভর হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ। আজ বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়েছেন রাজ্যের প্রাণীসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য সমীরকুমার জানার প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী রাজ্যের ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি এবং স্বনির্ভরতার পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
রাজ্যের ডিমের চাহিদা ও উৎপাদন:
- বার্ষিক চাহিদা: রাজ্যে প্রতি বছর প্রায় ১ হাজার ৫২৮ কোটি ডিমের প্রয়োজন।
- উৎপাদন সক্ষমতা: বর্তমানে রাজ্যে বার্ষিক ডিম উৎপাদনের ক্ষমতা ২৫০ কোটি। প্রতিদিন গড়ে ২.৫ লক্ষ ডিম উৎপাদিত হয়।
- বেসরকারি খামার: ডিম উৎপাদনে ১১৪টি বেসরকারি খামার ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে।
সরকারি উদ্যোগ:
- বাড়তি মুরগি ও হাঁসের সরবরাহ: গত ১১ মে পর্যন্ত ৮ কোটি ৬ লক্ষ মুরগি এবং হাঁসছানা বিভিন্ন উপভোক্তাদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
- চিকিৎসা পরিষেবা: হাঁস-মুরগির সঠিক চিকিৎসার জন্য রাজ্যজুড়ে ভেটেরিনারি মোবাইল ইউনিট এবং ক্লিনিক খোলা হয়েছে।
- টোল-ফ্রি পরিষেবা: পশুপালকদের সুবিধার জন্য টোল-ফ্রি নম্বরে ফোন করলে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা।
জাতীয় স্তরে স্থান:
পশ্চিমবঙ্গ বর্তমানে দেশের মধ্যে ডিম উৎপাদনে চতুর্থ স্থানে রয়েছে। এই সাফল্য রাজ্য সরকারের কার্যকরী উদ্যোগ এবং বেসরকারি খাতের সহায়তার ফল।
পরিকল্পনার লক্ষ্য:
রাজ্য সরকার আগামী বছরগুলিতে ডিম উৎপাদনে স্বনির্ভরতা অর্জনের পাশাপাশি জাতীয় স্তরে আরও উন্নত স্থান দখলের লক্ষ্য রেখেছে।
ডিম উৎপাদন বাড়াতে নেওয়া এই পদক্ষেপগুলি শুধুমাত্র খাদ্যচাহিদা পূরণ নয়, বরং রাজ্যের অর্থনীতির উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের এই উদ্যোগ প্রশংসিত হচ্ছে।