ভারত, দক্ষিণ কোরিয়ার বুসানে অনুষ্ঠিত আন্তঃসরকারি আলোচনাকারী কমিটির পঞ্চম সম্মেলনের চূড়ান্ত পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে প্ল্যাস্টিক দূষণ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে নিখুঁত ভারসাম্য রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে। ভারত স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছে যে, বিশেষ করে বিকাশশীল অর্থনীতির দেশগুলির জন্য প্ল্যাস্টিক দূষণ প্রতিরোধের পদক্ষেপগুলি আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
প্ল্যাস্টিক দূষণের ভয়াবহ চ্যালেঞ্জ
ভারত এই সম্মেলনে প্ল্যাস্টিক দূষণের ভয়াবহ চ্যালেঞ্জের ওপর আবারও জোর দিয়েছে। দেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, উন্নয়নশীল দেশগুলির জন্য টেকসই বিকাশের পথ এবং প্ল্যাস্টিক দূষণ কমানোর পদক্ষেপ একসঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। ভারত আরো জানায়, প্রত্যেক দেশকে তার নিজস্ব পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হবে, এবং আন্তর্জাতিক সমঝোতা ও সহযোগিতা অপরিহার্য।
পারস্পরিক আস্থা এবং পরিস্থিতি বোঝার গুরুত্ব
ভারত বিশ্বাস করে যে, দূষণ কমানোর প্রচেষ্টা সফল হতে হলে সদস্য দেশগুলির মধ্যে পারস্পরিক আস্থা থাকা জরুরি। দেশগুলির নিজস্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং উন্নয়নের অধিকারকে সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণে এগিয়ে আসা প্রয়োজন।
প্ল্যাস্টিক পলিমারের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণের বিরোধিতা
ভারত স্পষ্ট জানিয়েছে যে, তারা প্রাথমিক প্ল্যাস্টিক পলিমারের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করার কোনো ব্যবস্থা সমর্থন করতে পারবে না। ভারত মনে করে যে, এটি বিকাশশীল দেশগুলির উন্নয়নের অধিকারের সাথে সঙ্গতিহীন হতে পারে। এমন পদক্ষেপ তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
ভারতের এই মন্তব্য বিশ্বব্যাপী প্ল্যাস্টিক দূষণ কমানোর লক্ষ্য এবং উন্নয়নশীল দেশের বৈধ অধিকারের মধ্যে সঠিক ভারসাম্য রক্ষার গুরুত্বকে তুলে ধরেছে। দেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত ও ন্যায্য পদক্ষেপ নিতে হবে, যেখানে সব দেশকে তাদের উন্নয়নকে সমর্থন করার সুযোগ দেওয়া হবে।