কুয়েত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১৩ ঘণ্টা ধরে আটকে থাকা ৬০ জন ভারতীয় যাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়েছে সেখানকার ভারতীয় দূতাবাস। যাত্রীদের ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার যাওয়ার পথে গাল্ফ এয়ারের একটি বিমানের ইঞ্জিনে আগুন লাগার কারণে বিমানটি কুয়েতে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়।
দীর্ঘ অপেক্ষা ও অভিযোগ
যাত্রীদের অভিযোগ, দীর্ঘ সময় ধরে তাদের খাবার বা পানীয় দেওয়া হয়নি। বিশেষত, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যাত্রীদের জন্য যেখানে সমস্ত রকম সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছিল, সেখানে ভারতীয়, পাকিস্তানি এবং অন্যান্য দক্ষিণ এশীয় যাত্রীদের প্রতি বিমানের পক্ষ থেকে অবহেলা করা হয়।
ভারতীয় দূতাবাসের পদক্ষেপ
ঘটনার খবর পেয়ে কুয়েতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। তারা বিমানবন্দরে দুটি লাউঞ্জের ব্যবস্থা করে এবং যাত্রীদের জন্য খাবার ও জল সরবরাহ করে। দূতাবাসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, “আমরা আমাদের নাগরিকদের সাহায্যের জন্য সবসময় প্রস্তুত। এই পরিস্থিতি যাতে দ্রুত সমাধান হয়, সেজন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি।”
ভিসা-সংক্রান্ত সমস্যার প্রভাব
কুয়েতে ভারতীয় নাগরিকদের জন্য ‘ভিসা অন অ্যারাইভাল’ সুবিধা নেই, যার কারণে এই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। কুয়েতের এক সরকারি আধিকারিক জানান, আইনগত সীমাবদ্ধতার কারণে ভারতীয় যাত্রীদের তৎক্ষণাৎ বিমানবন্দর ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া সম্ভব হয়নি।
ভবিষ্যতের জন্য চ্যালেঞ্জ
এই ঘটনাটি আন্তর্জাতিক বিমানের যাত্রীদের প্রতি ন্যায়সঙ্গত আচরণের প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশীয় যাত্রীদের প্রতি বিমানের পক্ষ থেকে এই বৈষম্যমূলক আচরণ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
কুয়েত বিমানবন্দরে ভারতীয় দূতাবাসের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ প্রশংসনীয়। তবে এই ঘটনা ভবিষ্যতে এমন সমস্যার পুনরাবৃত্তি রোধে আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলির নীতি ও পরিষেবার মান উন্নতির প্রয়োজনীয়তাকে আরও একবার সামনে এনেছে।