বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। আজ বিধানসভায় তিনি এ প্রসঙ্গে একটি বিবৃতি দিয়ে জানান যে রাজ্যের ৭৯ জন মৎস্যজীবী ভুলবশত জলসীমা অতিক্রম করার পর থেকে বাংলাদেশে আটক রয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গত ১০ দিন ধরে বাংলাদেশে অনেক উদ্বেগজনক ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার সম্পূর্ণ নীরব। আমাদের ৭৯ জন মৎস্যজীবীকে বাংলাদেশের একটি থানায় আটকে রাখা হয়েছে। রাজ্যের তরফ থেকে আইনজীবী প্রদান করা হলেও এখনো মুক্তি মেলেনি।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান, অতীতে এ ধরনের পরিস্থিতি দেখা যায়নি। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “যখন বাংলাদেশী ট্রলার ডুবে যাওয়ার পর সেখানকার মৎস্যজীবীদের নিরাপদে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল, তখন আমাদের নাগরিকদের ক্ষেত্রে এই নিষ্ক্রিয়তা দুঃখজনক।”
পরিবারের জন্য উদ্বেগ
মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় উল্লেখ করেন যে, এ রাজ্যের বহু মানুষের আত্মীয়স্বজন বাংলাদেশে বসবাস করেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এই বিষয়ে জাতিসংঘের সাহায্য নেওয়া উচিত, যাতে আটকে পড়া নাগরিকদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা যায়।”
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
বিরোধী দলগুলি মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে সমর্থন জানালেও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতি দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হতে পারে।
বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আহ্বান রাজনৈতিক ও মানবিক উভয় ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ। এখন দেখার বিষয়, কেন্দ্রীয় সরকার কীভাবে এই পরিস্থিতি সামাল দেয়।