বঙ্গোপসাগরে গত মঙ্গলবার গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়, যা বুধবার ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। ঘূর্ণিঝড়টির নামকরণ করা হয়েছে ‘দানা’। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিঝড়টি ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে। ঘূর্ণিঝড় দানার সম্ভাব্য গতি ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছতে পারে বলে জানা গেছে।
ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও তামিলনাড়ুর জন্যও সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সম্ভাব্য দুর্যোগের আশঙ্কায় বাংলা ও ওড়িশার উপকূলে প্রশাসনের তরফ থেকে আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ওড়িশায় ২০০-রও বেশি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে এবং জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র পুরীকে পর্যটকশূন্য করা হয়েছে। রাজ্যজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে প্রশিক্ষিত উদ্ধারকারী দল, যারা জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।
এই ধরনের ঘূর্ণিঝড়ের ফলে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। ঝড়ো হাওয়া, প্রবল বৃষ্টি এবং সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাস উপকূলীয় এলাকাগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এজন্য প্রশাসন উপকূলবাসীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে এবং সমুদ্রের আশেপাশে সমস্ত মাছ ধরার নৌকাগুলোকে বন্দরে ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সাধারণ মানুষকে ঘূর্ণিঝড়ের সময় বাড়ির ভেতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।