জুলাইয়ের দ্বিতীয় ভাগে বাংলাদেশ জুড়ে যখন ছাত্র আন্দোলন তুঙ্গে, তখন দেশের অন্যতম তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান যুক্তরাষ্ট্রে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ ক্রিকেটে অংশ নিচ্ছিলেন। সে সময় দেশের শীর্ষস্থানীয় অনেক ক্রিকেটারই দেশে চলমান সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে ‘শান্তির সপক্ষে’ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়েছিলেন। কিন্তু সাকিব কোনো মন্তব্য বা বক্তব্য প্রকাশ করেননি, যা তাঁর অনুরাগীদের মধ্যে কৌতূহলের জন্ম দেয়।
এরপর যুক্তরাষ্ট্রে খেলার পর সাকিব গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে অংশ নিতে যান কানাডায়। উল্লেখযোগ্যভাবে, ৫ আগস্ট যখন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং ৬ আগস্ট দ্বাদশ সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়, তখনও তিনি কানাডায় অবস্থান করছিলেন। এ সময়ে তাঁর দেশে ফেরার কোনও খবর ছিল না।
দেশে ফেরা: পরিকল্পনা এবং বাতিল
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুরে টেস্ট খেলতে আজ, ২১ অক্টোবর, ঢাকায় আসার কথা ছিল সাকিবের। এমনকি তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুবাই পর্যন্ত চলে এসেছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে জানা যায়, বাংলাদেশ দলের এই সাবেক অধিনায়কের দেশে আসা বাতিল হয়ে গেছে। ফলে তাঁর দেশে ফেরার সময় এখনো অনিশ্চিত।
জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত শিরোনামে সাকিব
জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন কারণে সাকিব আল হাসান খবরের শিরোনাম হয়েছেন। তাঁর ব্যক্তিগত ও পেশাগত বিভিন্ন সিদ্ধান্ত, বিশেষত দেশের আন্দোলন-সংকটের সময় তাঁর নীরবতা, অনেক সমর্থকের মনে প্রশ্ন তুলেছে। তাছাড়া দেশের বাইরের লিগে খেলতে যাওয়া, সরকারের পতনের সময় তাঁর অনুপস্থিতি এবং মিরপুর টেস্টে তাঁর অংশগ্রহণ না করা নিয়ে নানা আলোচনা হচ্ছে।
সাকিবের মাঠের পারফরম্যান্স যেমন চিরকাল তাঁর অনুরাগীদের আলোচনার বিষয়, তেমনি মাঠের বাইরে তাঁর সিদ্ধান্তগুলোও প্রায়ই সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে।